কাউন্সিলর প্রার্থী নিহতের ৫ ঘন্টা পর আরেক কাউন্সিলর প্রার্থীর মরদেহ উদ্ধার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ১৪ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:৫৩ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নির্বাচনী সহিংসতায় উমেদপুর ইউনিয়ন ভোট চাইতে গিয়ে কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেনের ভাই আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বল্টু (৫০) ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। এদিকে এই ঘটনার ৫ ঘন্টা পর রাত ১ টার দিকে নদীতে পাওয়া গেছে একই ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র কমিশনার প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর মরদেহ। নদীর ভেতরে দাঁড়ানো অবস্থায় ছিল তার মরদেহ। কিভাবে মৃত্যু হয়েছে এই কমিশনার প্রার্থীর তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানান শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহাঙ্গীর আলম।
পরপর ২টি মৃত্যুর ঘটনায় শৈলকুপা পৌরসভার নাগরিক ও ভোটারদের মাঝে চরম উদ্বেগ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। শহর সহ পৌর এলাকার সর্বত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকিং চলছে।
দুই প্রার্থীই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী আশরাফুল আজমের সমর্থক বলে জানা গেছে। যমুনাটিভি, ডিবিসি, নিউজ২৪
শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম জানান, বুধবার রাত দেড়টার দিকে পৌর এলাকার আট নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আলমগীর হোসেন বাবুর মরদেহ উপজেলার দেবতলা নদীর থেকে অর্ধপোতা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে শৈলকুপা পৌর নির্বাচনের কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হোসেনের ছোট ভাই ও আওয়ামী লীগের কর্মী বল্টু হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের সমর্থকরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুটি মৃত্যুর ঘটনা প্রচার-প্রচারনা কে কেন্দ্র করে। তারা জানান, একটি ঘটনার জেরে আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। এদিকে কমিশনার প্রার্থী আলমগীর হোসেনের সমর্থক ও পরিবার দাবি করছে পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন বল্টু উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান পৌর কাউন্সিলর ও প্রার্থী শওকত আলীর ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় প্রার্থী শওকত আলীসহ তার ৩ ভাই কবিরপুর তাদের নির্বাচনী কার্যালয়ে বসে ভোট চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এ সময় অতর্কিতভাবে হামলা চালায় প্রতিপক্ষ প্রার্থী বাবু খানের সমর্থকরা। এতে প্রার্থী শওকত আলী ও তার ভাই লিয়াকত হোসেন বল্টু মারাত্মক আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। বল্টুর অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।