বগুড়ায় শাশুড়ির ১০০ কোটি টাকা হা’তিয়ে নেয়ায় জামাইসহ মেয়ে গ্রে’ফতার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৪৫ এএম, ২০ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০৩:০৭ পিএম, ৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বগুড়ায় শাশুড়ির শতকোটি টাকা হা’তিয়ে নেয়ার মামলায় জামাতা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা ও তার স্ত্রীকে জে’লহা’জতে প্রেরণ করেছেন আ’দালত। রোববার তাদের গ্রে’ফতার করা হয়। বগুড়ার
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আওয়াল আ’দালতে আনোয়ার হোসেন রানা এবং তার স্ত্রী জা’মিনের আবেদন করলে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন না’ম’ঞ্জুর করে জে’লহাজতে প্রেরণ করেছেন।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর আনোয়ার হোসেন রানা তার স্ত্রীসহ ৫ জনের বি’রু’দ্ধে মাম’লা করে শাশুড়ি দেলোয়ারা বেগম। অভি’যোগে উল্লেখ করা হয়, স্বামীর মৃ’ত্যুর পর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিফ বিড়ি
ফ্যাক্টরি পরিচালনা করছিলেন তিনি। অংশীদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তারা শহরের শাকপালা ও চারমাথা এলাকায় সরিফ সিএনজি লিমিটেড নামের দুটি ফিলিং স্টেশন এবং নবাববাড়ি রোডে দেলওয়ারা-শেখ সরিফ উদ্দিন সুপার মার্কেট পরিচালনা করে আসছিলেন।
এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে ছিলেন তার পাঁচ মেয়ে আকিলা সরিফা সুলতানা, মাহবুবা সরিফা সুলতানা, নাদিরা সরিফা সুলতানা, কানিজ ফাতিমা ও তৌহিদা সরিফা সুলতানা। দেলওয়ারা বেগম আরও অভি’যোগ করেন, শারী’রিক
অ’সুস্থতা ও বা’র্ধক্যজ’নিত কারণে জামাই আনোয়ার হোসেন রানা ও মেয়ে আকিলা সরিফা সুলতানাকে ব্যবসা দেখাশোনার মৌ’খিক অনুমতি দেন। কিন্তু একপর্যায়ে তাকে অ’স্ত্রের মু’খে জি’ম্মি করে ফাঁ’কা স্ট্যা’ম্প, ব্যবস্থা
প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক চে’ক ও এফডিআরসহ বিভিন্ন নথিপত্রে তার সই নেন জামাই। এরপর তার নিজের নামীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে নগদ টাকাসহ এফডিআর ভা’ঙিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকারও বেশি তুলে নেন।
২০১৫ সালের ১ জুন থেকে এই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই অর্থ তুলে আ’ত্ম’সাৎ করেছেন মেয়ে-জামাই। এরই বাইরে একই সময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তার নামীয় ব্যাংক হিসাব থেকে আরও ৫০ লাখ টাকা তুলে আ’ত্মসা’ৎ করেন।
আর তাদের এই কাজে সহায়তা করেছেন সরিফ বিড়ি ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপক কাম ক্যাশিয়ার নজরুল ইসলাম (৩৮), ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক হাফিজার রহমান (৫০) এবং সুপার মার্কেটের ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম (৫০)।
দেলওয়ারা বেগম জানান, জামাই আনোয়ার হোসেন রানা পি’স্ত’ল উঁচিয়ে তাকে হ-ত্যার হু”মকি দিচ্ছিলেন। এরই মাঝে গত ২১ সেপ্টেম্বর বাসার আলমারি-সি’ন্দুক থেকে নগদ অর্থ, ব্যাংকের চেক, এফডিআর এবং ব্যবসায়িক সকল নথিপত্র নিয়ে চলে যায়।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বরে আনোয়ার হোসেন রানার বি’রু’দ্ধে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভি’যোগ দিয়েছিল ম’রহুম সরিফ উদ্দিনের চার মেয়ে মাহবুবা সরিফা সুলতানা, নাদিরা সরিফা সুলতানা, কানিজ ফাতিমা ও তৌহিদা সরিফা সুলতানা।
তাদের অ’ভিযো’গ ছিল অ’সুস্থ বিধবা মা দেলওয়ারা বেগমকে জি’ম্মি করে, ভুল বুঝিয়ে এবং রাজনৈতিক প্রভাব খা’টিয়ে প্র’তার’ণার মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা আ’ত্মসা’ৎ করেছেন আনোয়ার হোসেন রানা।