নিম্নবিত্তের পাশাপাশি ওএমএস লাইনে বাড়ছে মধ্যবিত্তের ভিড়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ অক্টোবর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:১৭ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে বিশেষ খোলাবাজারে চাল বিক্রির (ওএমএস) ডিলারদের দোকানে মানুষের ভিড় বাড়ছে। ওএমএস-এর দোকানে এখন শুধু নিম্নবিত্তরাই নন, মধ্যবিত্ত লোকজনও লাইনে দাঁড়িয়ে চাল কিনছেন। অনেক ওএমএস ডিলারে সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চাল ও আটা বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও দুপুর ২টার মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় তীব্র রোদ উপেক্ষা করে নগরীতে ওএমএস-এর চাল ও আটা কিনতে ট্রাক ও ডিলারের দোকানে ভিড় করেছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল ও ২৪ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি আটা কিনতে এ ভিড়।
অনেক ডিলারের দোকানে ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এদিকে চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগ খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রি সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে কি না,তা মনিটরিং করার জন্য কন্ট্রোল রুম খুলেছে। এমনকি একজন ডিলারকে মনিটরিং করতে একজন তদারকি অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোয় বিশেষ ওএমএস-এর চাল ও আটা বিক্রি বন্ধ রয়েছে।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ৭ জুলাই থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৩ পয়েন্টে ওএমএস-এর চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। ২৩টি পয়েন্টে দোকানের ডিলারদের প্রতিদিন ২৩ টন চাল ও আটা দেওয়া হচ্ছে। এখন উপজেলা পর্যায়ে এ কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। তবে উপজেলা পর্যায়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় হতদরিদ্রদের জন্য প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, অন্যদিকে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এমন পরিস্থিতিতে সুলভে কম দামে চাল কেনার জন্য স্বস্তির ঠিকানা হয়েছে খাদ্য বিভাগের ওএমএস। আগে নিম্ন-আয়ের লোকজন খোলাবাজারে চাল কেনার জন্য ভিড় করতেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে চাল ও আটার জন্য মধ্যবিত্তরাও দাঁড়াচ্ছেন লাইনে। বৃহস্পতিবার নগরীর একাধিক খাদ্য বিভাগের ওএমএস-এর ডিলারের দোকানে দেখা যায় মানুষের দীর্ঘ সারি। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা কম দামে পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, পূর্ব বাকলিয়া, পশ্চিম বাকলিয়া, বায়েজিদ, আন্দরকিল্লাসহ বিভিন্ন জায়াগায় ওএমএস-এর চাল বিক্রি শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই সব সামগ্রী শেষ হয়ে যাচ্ছে। লাইনে অতিরিক্ত লোকজন দাঁড়ানোয় অনেকে চাল ও আটা কিনতেও পারছেন না।
চট্টগ্রাম জেলায় খোলাবাজারে চাল বিক্রি মনিটরিং ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা খাদ্য পরিদর্শক মোহাম্মদ শফিউল হাবিব ভূইয়া বলেন, জুলাই থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৩ পয়েন্টে ওএমএস-এর চাল ও আটা বিক্রি করা হচ্ছে। ২৩টি পয়েন্টে দোকানের ডিলারদের প্রতিদিন ২৩ টন চাল ও আটা দেওয়া হচ্ছে।