নাটোর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিসহ ১৫ নেতা কারাগারে

নাটোর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারিসহ ১৫ জন নেতাকে সোমবার কারাগারে পাঠিয়েছেন নাটোরের বড়াইগ্রাম আমলী আদালত। রোববার বিকালে বড়াইগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের রাজাপুর জামে মসজিদ থেকে পুলিশ তাদেরকে আটক করে।

রাতে বড়াইগ্রাম থানার এসআই মনিরুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে বড়াইগ্রাম থানা থেকে সোমবার সকাল ৮টার দিকে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। সকাল ১১টার দিকে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে ডিবি পুলিশ তাদের কারাগারে নিয়ে যায়।

কারাগারে পাঠানো নেতারা হলেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেুকর রহমান, সাবেক জেলা সেক্রেটারি ও নাটোর-৪ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান, বড়াইগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবুল হোসাইন ও সেক্রেটারি আবু বকর সিদ্দিক, বায়তুল মাল সম্পাদক আতিকুর রহমান মাস্টার, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর রাজাপুর গ্রামের মাওলানা হাশেম আলী মীর ও চড় ইকোল গ্রামের আব্বাস আলী মাস্টার, উপজেলা জামায়াত নেতা দাসগ্রাম এলাকার মাওলানা হাবিবুর রহমান, ধানাইদহ গ্রামের মাওলানা সোলায়মান হোসেন, বনপাড়া পৌরসভার মালিপাড়া গ্রামের কোরবান আলী ও জুয়েল রানা, ইকড়ি গ্রামের আমজাদ হোসেন ও জয়নাল আবেদীন মাষ্টার, বড়দেহা গ্রামের নবীর উদ্দিন মাস্টার ও বাজিতপুর গ্রামের হাসানুল বান্না।

নাটোর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ড. মীর নুরুল ইসলাম বলেন, আটক নেতারা রাজাপুর জামে মসজিদে বসে সাংগঠনিক মিটিং করছিলেন।

খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম সেখানে উপস্থিত হয়ে মসজিদের দরজায় তালা মেরে দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আগের কোনো মামলা না থাকা সত্ত্বেও বিনা অপরাধে তাদের আটকের ঘটনায় তিনি তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে আটক জামায়াত নেতাদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।