avertisements 2

ইংরেজিতে এমএ করেও মেলেনি চাকরি, বাধ্য হয়েই চালান মুদি দোকান

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ নভেম্বর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১০:১১ এএম, ৯ আগস্ট,শনিবার,২০২৫

Text

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন দীপক মাহাতো। একসময় তিনি ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সঙ্গে শেক্সপিয়র, কিটস, শেলি, বায়রনকে নিয়ে আলোচনায় মেতে থাকতেন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে আজ সবই শুধু স্মৃতি। জীবনের নানা ঘাত-প্রতিঘাতের জেরে দীপক এখন মুদি দোকানি।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার শ্যামদাসডিহি গ্রামে বাড়ি দীপকের। বাড়ি বলতে মাটির দেওয়াল এবং খাপরার চাল। সেই বাড়ির পাশেই মাটির দেয়াল এবং খাপরার চাল দিয়ে তৈরি দীপকের মুদিখানা দোকান।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এমএ করেছিলেন দীপক। পেয়েছিলেন প্রথম শ্রেণি। কিন্তু চাকরি পাননি। ফলে এই মুদিখানাই এখন ভরসা দীপকের। নিত্যদিন সকাল থেকে সেই দোকানে চাল, ডাল, তেল, লবন, চানাচুর বিক্রিতে ব্যস্ত এখন তিনি।

এ বিষয়ে দীপক বলেন, আর কী করবো বলুন? পাঁচটা বছর কেটে গেলো এমএ করে বসে আছি। বিএড করেছি। কিন্তু, একটা চাকরি জোটাতে পারছি না। বাবা ধার করে বিএড পড়িয়েছেন আমাকে। এখন কোনো মতে সেই দেনা শোধ করতে হবে।

শ্যামদাসডিহি গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কৃষক এবং শ্রমজীবী। দীপকের বাবা দুর্গাদাস মাহাতোরও রয়েছে সামান্য জমি। মা ফুনু মাহাতো বাড়িতে থাকেন। দীপকের দোকানেও যৎসামান্য জিনিসপত্রের আয়োজন। কত টাকা আয় হয় দোকান থেকে প্রশ্নে দীপক জানালেন, দোকান থেকে দৈনিক প্রায় ২০০ টাকা উপার্জন হয়।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2