সরকারি দপ্তরের পিয়ন-দারোয়ানের চেয়ে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের বেতন কম
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১১:৪৬ এএম, ১২ জুলাই,শনিবার,২০২৫

বেসরকারি খাতের ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন হবে ৩৯ হাজার টাকা। আর ব্যাংকের অফিস সহায়কদের (নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও মেসেঞ্জার) সর্বনিম্ন বেতন হবে ২৪ হাজার টাকা।তবে শুনলে অবাক হতে পারেন, বাংলাদেশের বেশিরভাগ সাংবাদিক ব্যাংকের সর্বনিম্ন বেতন ৩৯ হাজার টাকা তো দূরের কথা, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য যে সর্বনিম্ন বেতন যে ২৪ হাজার ঠিক করা হলো, তার চেয়েও কম বেতন পান।
এবার বলেন একটা দেশের মেধাবীরা কেন সাংবাদিকতায় আসবে? কেন সাংবাদিকতায় থাকবে? আফসোস সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নূন্যতম বেতন ঠিক করা আছে। এমনকি গার্মেন্টসেও সর্বনিম্ন বেতন ঠিক করা আছে।
কিন্তু বাংলাদেশের সব ধরনের গণমাধ্যমের জন্য বেতন কাঠামো ঠিক করা নেই। পত্রিকার জন্য যে ওয়েজ বোর্ড ঠিক করা আছে প্রথম সারির কয়েকটা গণমাধ্যম বাদে বেশিরভাগ সেটা মানে না। ঢাকার বাইরের সাংবাদিকদের অবস্থা আরো খারাপ। তারা বেতন পান না বললেই চলে। উল্টো কোন কোন সময় অফিসকেই তাদের টাকা দিতে হয়।
এক দশ আগে একজন সাংবাদিক যে বেতন পেতেন তার চেয়ে খুব একটা বাড়েনি।এই দেশের প্রভাবশালী সব সম্পাদকরা মনে করেন সাংবাদিকদের এতো বেশি বেতন হওয়া উচিত না। আচ্ছা মেধাবী একটা ছেলেমেয়ে তাহলে কেন সাংবাদিকতায় আসবে?কেন সাংবাদিতায় থাকবে?
একই কথা প্রযোজ্য প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে। সরকারি দপ্তরের পিয়ন দারোয়ানের চেয়ে তাদের বেতন কম। অথচ সাংবাদিকতা কিংবা শিক্ষকতার মতো গুরুত্বপূর্ণ পেশায় বেতন হওয়া উচিত এতো বেশি যাতে সবচেয়ে বেশি মেধাবীরা এইসব পেশায় আসে এবং থাকে।