গরু-মহিষেরও ‘জন্ম নিবন্ধন’ লাগে যেখানে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:১৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
সারা দেশে শিশুদের জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম চলমান। এ বিষয়টির সঙ্গে কমবেশি সবাই পরিচিত। তবে যদি বলা হয় গরু-মহিষের জন্মনিবন্ধন।
শুনে হয়তো অবাক হবেন অনেকেই। কেউ কেউ গুজব ভেবে এড়িয়েও যেতে পারেন। তবে সত্যিটা হলো রাজশাহীর সীমান্তবর্তী চরাঞ্চলের গরু-মহিষেরও নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে বহু বছর ধরে। সেখানে এটি বাধ্যতামূলক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি বলছে, সীমান্তে গরু-মহিষ চোরাচালান ঠেকাতে এই নিবন্ধন করা হয়। তবে স্থানীয়রা বলছেন, পশুর নিবন্ধন করাতে গিয়ে তারা মাঝেমধ্যেই হয়রানির মধ্যে পড়েন।
রাজশাহীর পবা উপজলেরা চরমাঝারদিয়াড় এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম নিজ বাড়িতে লালন-পালন করেন তিনটি গরু। এর মধ্যে সম্প্রতি একটি গরু বাচ্চা দিয়েছে। নতুন বাচ্চাটি নিয়ে এসেছিলেন স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে। এখানেই হবে বাছুরের জন্মনিবন্ধন।
আশরাফুল বলেন, ‘এখানে গরু পালতে হলে বিজিবির কাছে সেটির নিবন্ধন নিতে হয়। এ জন্য কোনো টাকা লাগে না। তবে গরুটি দেখতে কেমন তার একটি বর্ণনা থাকে। নিবন্ধনভুক্ত না করলে সেটি অবৈধ গরু হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই বাছুর জন্ম নিলে সেটিকে আমরা জন্মনিবন্ধন করিয়ে নিই।’
‘গরুর বাচ্চা হলে ১০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করতে হয়। বিক্রি করতে হলেও সেটি এক দিন আগে ছাড় করতে হয়’- জানান আশরাফুল।
আশরাফুলের গরুর মতো এ এলাকার প্রতিটি গরুরই আছে নিবন্ধন। জন্ম বা ক্রয়সূত্রে হোক সেই গরুকে নিবন্ধন নিতে হয়। আর কোনো গরু বিক্রি করতে হলে, সেটির জন্য নিতে হয় ছাড়পত্র। আবার কোনো কারণে সেটি বিক্রি না হলে, ফিরিয়ে আনার পর জানাতে হয় বিজিবিকে। এই নিয়ম চলছে বহু বছর ধরেই।
যেখানে গরু-মহিষের জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক মূলত চোরাচালান ঠেকাতেই এই কার্যক্রম হাতে নেয়ার কথা জানিয়েছে বিজিবি। বিশেষ করে অবৈধভাবে যাতে ভারতীয় গরু দেশে ঢুকতে না পারে সে জন্য এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে এই নিয়মকে হয়রানি মনে করছেন অনেকেই।