avertisements 2

কে হবেন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক?

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ এপ্রিল,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:৩১ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪

Text

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবারও যথাসময়েই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সম্মেলন করতে চায়। এ নিয়ে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে দলটি। পাশাপাশি দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ ‘সাধারণ সম্পাদকের’ দায়িত্ব পেতে তৎপরতা শুরু করেছেন বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। তারা যেমন নিজেদের সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়িয়েছেন, তেমনি নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও যোগাযোগ মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছেন।

আগামী ডিসেম্বরে কেন্দ্রের সম্মেলন উপলক্ষে দেশব্যাপী তৃণমূলের সম্মেলন গুছিয়ে আনছে দলটি। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জেলার সম্মেলন শেষ হয়েছে এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটিও হয়েছে। ইউনিয়ন, পৌরসভা-উপজেলা পর্যায়ে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলন ঘিরে যেমন দেশব্যাপী বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে, তেমনি ভেতরে ভেতরে বাড়ছে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে প্রতিযোগিতা। কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক– এ প্রশ্নের উত্তর পেতে চায়ের টেবিলে ঝড় তুলছেন নেতা-কর্মীরা।

আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের টানা দুইবার এ দায়িত্বে। তিনি আগামী সম্মেলনে এ পদে প্রার্থী হবেন না এমন আলোচনা রয়েছে দলটিতে। তা ছাড়া তার শারীরিক অবস্থাও খুব ভালো নেই। এমত অবস্থায় এই বড় দলের গুরুত্বপূর্ণ পদটি কে ধরতে যাচ্ছেন তা নিয়ে আ.লীগ মহলে চলছে আলোচনা। তবে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা কিছু। সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আলোচনায় যারা:-

দলটির নেতাকর্মীদের আলোচনায় বেশ কয়েকটি নাম উঠে আসছে। তারা হলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্যাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান। এছাড়াও টানা তিনবারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বেশ কয়েকবার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা মাহবুবউল আলম হানিফের নামও আসছে জোরালোভাবে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ড. হাছান মাহমুদও আছেন সাধারণ সম্পাদক হওয়ার আলোচনায়।

তবে আওয়ামী লীগের রেওয়াজ হচ্ছে নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম প্রস্তাব করা হয় কাউন্সিলে। আর এটি হ্যাঁ/না ভোটে পাস হয়। যে কারণে প্রস্তাবনার ওপর নির্ভর করছে, কে হচ্ছেন আগামীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও বেশ কয়েকটি পদে রদবদলসহ নতুন যুক্ত হবেন ৮-১০ জন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, আমাদের সম্মেলন সময়মতো হবে। আমরা সেজন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। এরই মধ্যে অনেক জেলায় সম্মেলন করেছি। ডিসেম্বর বা জানুয়ারির ভেতরেই আমরা দলীয় সম্মেলন করে সব সময়মতো শেষ করবো। নেতৃত্বে পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সব সময় সম্ভাবনা থাকে।’

এ নিয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ একমাত্র রাজনৈতিক দল যার ভেতরে সবচেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক চর্চা হয়। এই দলে কথা বলা যায়। নেতাকর্মীদের মতপ্রকাশের অধিকারসমৃদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। এই দলটির কাউন্সিলও যথাসময়ে হয়, হবে। কাউন্সিলে কাউন্সিলররা আসবেন, সেখানে আলাপ-আলোচনা হবে। মতবিনিময় হবে। কাউন্সিলররা মতামত ব্যক্ত করবেন। কাউন্সিলরদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে নেতা নির্বাচিত হবেন।’

৬৪টি জেলা ও ১২টি সিটি করপোরেশনসহ আওয়ামী লীগের মোট সাংগঠনিক জেলা কমিটি ৭৮টি। এসব জেলার আওতায় ৬২২টি উপজেলা কমিটি, ৫ হাজার ৬৪৩টি ইউনিয়ন কমিটি ও ৪৩ হাজার ৫৯৬টি ওয়ার্ড কমিটি রয়েছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2