রাজনীতিতে এসে ঘাত-প্রতিঘাত ও নোংরামির শিকার হয়েছি : রুমিন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ মার্চ,
বুধবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:১০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রুমিন ফারহানা
নারী দিবসকে কেন্দ্র করে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, কন্যাসন্তান হিসেবে অত্যন্ত নিরাপদ ও আদুরে পরিবেশে বড় হলেও পেশাগত এবং রাজনৈতিক জীবনে এসে নানান ঘাত-প্রতিঘাত শুধু নয় শিকার হয়েছি নোংরামিরও।
নারী দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
রুমিন ফারহানা জানান, ২০০৪ সালে আইন পেশা শুরু করতে গিয়ে প্রথম ধাক্কা খান তিনি। মামলা পরিচালনার সক্ষমতা প্রমাণ করার জন্য পুরুষ সহকর্মীর দ্বিগুণ কাজ করতে হয়েছে তাকে। পেছনে অনেকে বলতেন, মেয়ে বলে হয়তো একটু বেশি কাজ পায়, বিচারপতিরা একটু বেশি ফেভার করেন। এতেই টের পেলাম আমাদের সমাজে নারীর অবস্থানটা কী?
আমাদের সমাজটা যে শুধু নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক তাই নয়, অত্যন্ত নারীবিদ্বেষী মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিশেষ করে রাজনীতিতে এসে তো আমি আরও বেশি এটা অনুভব করেছি। কারণ, আমার পেশাগত জীবনে যেটা হয়েছে, সেটা সুস্থ প্রতিযোগিতা এবং এটার ছাপটা খুব বেশি নয়। আপনি একটা মামলায় জিতবেন বা হারবেন। ১০টা মামলা বেশি পাবেন বা পাঁচটা মামলা কম পাবেন। এটুকুই, এর বেশিকিছু নয়।
কিন্তু রাজনীতিতে এ প্রতিযোগিতার প্রভাব বেশি। আপনি মন্ত্রী-এমপি হবেন কিংবা হবেন না। কোটি টাকা সম্পদ বানাতে পারবেন কিংবা পারবেন না। কিন্তু রাজনীতিতে একজন আরেকজনের সর্বনাশ করতে মরিয়া। একজন আরেকজনের পেছনে লাগার প্রবণতা আমরা দেখি। নারী হিসেবে আমার মনে হয়, অনেক বেশি নোংরামির শিকার হয়েছি রাজনীতিতে এসে।
এরা প্রথমত চরিত্রকে খুব সহজ টার্গেট করে। মনে করা হয়, এটাতে আঘাত করলে বুঝি নারীকে দমিয়ে রাখা যাবে। এখন আমি মনে করি, কারও মধ্যে যদি সত্যিকার স্বপ্ন থাকে, সততা থাকে, দেশের প্রতি কমিটমেন্ট থাকে, মানুষের প্রতি ভালোবাসা থাকে, নিজের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস থাকে- তাহলে কোনো বাধাই বাধা নয়।
সংসদে সংরক্ষিত আসন নির্বাচনী রাজনীতিতে নারীর জন্য একধরনের আরামদায়ক পরিস্থিতি তৈরি করে বলে মন্তব্য করেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন নারী মনে করে আমার তো পরিশ্রম করার দরকার নেই। রোদে-বৃষ্টিতে আমার এলাকায় চষে ফেলার দরকার নেই। আমি বরং নমিনেশন না নিয়ে সংরক্ষিততে হই। একই ধরনের আরামদায়ক অবস্থা দলেও হয়। আমার মনে হয়, এটা ভাঙতে হবে। নারী যখন রাজনীতিবিদ হচ্ছে, তখন তাকে আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ হতে হবে। সে নারী না পুরুষ এটা ভাবলে চলবে না। বাধা আসবে, বাধা ডিঙাতে হবে বলে মত দেন তিনি।