একজন মাহবুব তালুকদার ছিলেন, সামনে কে হবে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪১ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
একজন মাহবুব তালুকদার ছিলেন। কখনো মনে হতো তিনি স্টান্টবাজি করছেন। আবার কখনো মনে হতো তিনি গণতন্ত্রের কথা বলছেন। দিন শেষে এটাই মনে হচ্ছে—তবু একজনই ছিলেন তিনি; যাঁর কল্যাণে আমরা এ দেশের নির্বাচনে প্রাতিষ্ঠানিক অনেক ফাঁকফোকরের কথা জানতে পেরেছি।
দেশের চলমান নির্বাচনী ব্যবস্থার গলদ এখন সবার কাছে স্পষ্ট। কিন্তু এই গলদের প্রাতিষ্ঠানিক উদাহরণ টানতে একজন মাহবুব তালুকদার অনেক এগিয়ে। গলদের বিরুদ্ধে তিনি লড়েছেন, তিনি কাজ করেছেন। সফল না হলেও শেষ পর্যন্ত সংগ্রাম করেছেন। বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব তালুকদার বলেছেন, তিনি ছিলেন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্যমাত্র। তিনি গণতন্ত্রের পক্ষে সেখানে কথা বলেছেন। আর অপর চার সদস্য (প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ) তাঁর অভিমতকে গণতান্ত্রিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ, মত প্রকাশকারীর সংখ্যার হিসাবে তিনি ছিলেন সংখ্যালঘু।
ফাগুন এলেও বসন্ত আসেনি
১৪ ফেব্রুয়ারি ফাগুনের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ বছরের মেয়াদও পূর্ণ করেছে নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন দেশের দ্বাদশ নির্বাচন কমিশন। আর ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন ত্রয়োদ্বশ নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে মানুষের ক্ষোভের আগুন মোটেও স্তিমিত হয়নি। বসন্তের আগমনের ইঙ্গিত আসেনি বাংলার রাজনীতিতে; বরং শঙ্কা বেড়েই চলেছে। গণমানুষের মতোই তরুণেরাও সত্যিকারের ভোটাধিকারের অপেক্ষা করছেন। কারণ, ২০০৮ সালের নির্বাচন বাদে নাগরিক জীবন থেকে ৯টি বসন্ত গায়েব হতে চলল—যেখানে তাঁরা ভোট উৎসবে যোগ দিতে পারেননি।
সামনেও যে ভোট উৎসব হবে আর নতুন নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে বা করতে পারবে, তা বলার মতো কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। কারণ, জনসমর্থনে সংখ্যার বিচারে দেশের প্রধান দুটি দলের একটি বিএনপি কমিশন গঠন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়নি। তারা অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির কাছে কারও নামও জমা দেয়নি। বিএনপি বলছে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন নয়, দলীয় সরকারই প্রধান অন্তরায়। নতুন কমিশনকে মেনে নিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আহ্বানও প্রত্যাখ্যান করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আওয়ামী লীগ বলছে, নবগঠিত ত্রয়োদশ নির্বাচন কমিশনে তাদের দেওয়া নাম থেকে কেউ আসেনি। কিন্তু তাদের এই কথা কতটা ধোপে টিকে? কারণ দ্বাদশ নির্বাচন কমিশনে মাহবুব তালুকদার এসেছিলেন বিএনপির প্রস্তাবিত নাম থেকে। আর অন্তত চারটি দল সিইসি হিসেবে কে এম নূরুল হুদার নাম প্রস্তাব করেছিল-জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, ন্যাপ ও তরীকত ফেডারেশন। কমিশনার রফিকুল ইসলামের নাম প্রস্তাব করেছিল পাঁচটি দল-জাতীয় পার্টি (জাপা), জাসদ, সাম্যবাদী দল, তরীকত ফেডারেশন ও জাতীয় পার্টি (জেপি)। কবিতা খানমের নাম প্রস্তাব করেছিল আওয়ামী লীগ, সাম্যবাদী দল, ন্যাপ ও গণতন্ত্রী পার্টি। শাহাদৎ হোসেন চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেছিল সাম্যবাদী দল ও গণতন্ত্রী পার্টি। অর্থাৎ ২০১৭ সালে গৃহীত নামগুলো ক্ষমতাসীনদের আস্থাভাজনদের দিক থেকেই এসেছে। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন দলের প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী, এবারও নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগের নাম ছিল সরকারঘেঁষা ছোট ছোট কয়েকটি দলের তালিকায়। এর মধ্যে তরীকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি (জেপি), গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ-বিএসডি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) অন্যতম। প্রথম চারটি দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিক। বাকি দুটি দল সরকারঘেঁষা হিসেবে পরিচিত।
তবে এখন পর্যন্ত একটা ভালো লাগার বিষয় দেখা যাচ্ছে, তা হলো শুরু থেকেই বিদায়ী সিইসি নূরুল হুদাকে নিয়ে একটা বিতর্ক ছিল। কিন্তু নতুন সিইসি নিয়ে তা শোনা যাচ্ছে না। বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত বিশিষ্ট নাগরিক জাফরুল্লাহ চৌধুরীও তাঁর নাম অনুসন্ধান কমিটির কাছে প্রস্তাব করেছিলেন। তবে এ নির্বাচন কমিশনেও যে, আমলাদেরই আধিক্য থেকে গেলে তা আর বলা বাহুল্য। কম বেশি পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিশনের সবাই-ই সরকারের পরীক্ষিত। যদিও আওয়ামী লীগ বরাবরের মতোই বলা শুরু করেছে, আগামী নির্বাচন তাদের জন্য সহজ হবে না। দলটির সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রতিপক্ষকে দুর্বল না ভাবতে অনুরোধ করেছেন। আবার নিজেদের জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
‘রাতের ভোট’ বাইরে রেখে
২০১৮ সালের ‘রাতের ভোট’ আলোচনার বাইরে রেখে দ্বাদশ নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলতে চাই। বলা হয়ে থাকে, স্থানীয় কিছু নির্বাচনের (ইউনিয়ন-পৌরসভা) পাশাপাশি নূরুল হুদা কমিশনের অধীন কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছিল। এ কথার কিছু সত্যতা উঠে আসে মাহবুব তালুকদারের কথায়ও। তিনি বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল তাঁদের দায়িত্ব গ্রহণের (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭) পরপরের ঘটনা (৩০ মার্চ)। সে সময় নতুন কমিশন হিসেবে হুদা কমিশনের দায়িত্ব পালনে বাইরের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। আর সবশেষ বড় নির্বাচনগুলোর মধ্যে ছিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। মাহবুব তালুকদারের ভাষ্য, এই নির্বাচনে বিভিন্ন কারণে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না।
অর্থাৎ অন্য নির্বাচনগুলোতে সরকারের হস্তক্ষেপ ছিল। মাহবুব তালুকদার বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল অনিয়মের মডেল। বাকি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অবস্থাও ছিল যা তা। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মাহবুব তালুকদার একক দায়িত্ব পালন করেন। অনিয়মের কারণে বরিশাল সিটির নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েও তিনি সহকর্মীদের অসহযোগিতায় পারেননি—ভাষ্য তাঁর।
দেশে সম্প্রতি শেষ হলো সাত দফার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। এসব নির্বাচনে সহিংসতায় ১০১ জনের প্রাণ গেছে। এ প্রাণহানিতে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায় নেই বলে বরাবর বলে আসছিলেন সিইসিসহ প্রতিষ্ঠানটির সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এ ক্ষেত্রে মাহবুব তালুকদার শুধু ব্যতিক্রম। তিনি বলেছিলেন, কোনো কোনো সাংসদ সরাসরি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কলুষিত করেছেন। কেবল চিঠি দেওয়া ছাড়া তাঁদের সম্পর্কে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেছিলেন, ভোটের আগে ও পরে ব্যালট পেপারের নিরাপত্তা বিধানে কমিশন ব্যর্থ হয়েছে।
তরুণ ভোটারদের কী হবে
দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ভোটার সংখ্যা। আর ভোটারের একটি বড় অংশ তরুণ। কিছু তথ্য বিশ্লেষণ করলে এটা অনুমান করা যায় যে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারের হার ২২ শতাংশের কম হবে না। কারণ, একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী ভোটারের হার ছিল প্রায় ২২ শতাংশ। সেই তরুণদের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ ২০১৮ সালেই প্রথম ভোট দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ‘রাতের ভোটের’ কারণে তাঁদের বড় অংশ কার্যত ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি বলে বিভিন্ন পক্ষের অভিযোগ ও তথ্যগত দাবি।
এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও নতুন ভোটার ছিল প্রায় ১ কোটি ৩৭ লাখ। সেবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় ও বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনের কারণে বাকি আসনেও নতুন ভোটারের একটা অংশ ভোট দিতে পারেননি। ফলে পরপর দুটি নির্বাচনে দেশের তরুণেরা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু ২০২৩-এর শেষের দিকে অথবা ২০২৪ সালের শুরুতে অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনেও যে তরুণদের ভোটাধিকার নির্বাসনে যাবে না, সে কথার কোনো ভিত্তি নেই। এর সবকিছুই নির্ভর করবে ক্ষমতাসীনদের পর্দার আড়ালে গৃহীত পদক্ষেপ, বিএনপির নেওয়া উদ্যোগ ও গণ–অধিকার পরিষদের মতো তরুণদের নতুন দলগুলোর অধিকার আদায়ের প্রচেষ্টার ওপর। প্রতিবেশী দেশ ছাড়া বিদেশি শক্তির কোনো প্রভাব থাকবে কি না, তা-ও এখনই বলা যাচ্ছে না।
প্রয়াত মিজানুর রহমান খানের আক্ষেপ
প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান করোনা-সংশ্লিষ্ট জটিলতায় প্রয়াত হলেন গত বছরের ১১ জানুয়ারি। তিনি লিখতেন দেশের আইন-আদালত ও নির্বাচন নিয়ে। তথ্য-উপাত্ত ও বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে বের করে আনতেন তলের গলদ। ‘সরল-গরল’ শীর্ষক কলামে দেশের নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশন নিয়ে তাঁর একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। শিরোনাম ছিল, ‘নির্বাচনে আমরা পড়শিদের চেয়ে পিছিয়ে’। সেখানে তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বেশ কিছু কথা বলেন। বলেন, ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে কোনো কিছু অনুকরণ করতে গিয়ে আমরা অনেক সময় ব্রিটেনের মতো উন্নত গণতান্ত্রিক দেশের দিকে নজর দিই। সেখান থেকে কিছু আহরণের চেষ্টা করি। সাধারণত আমরা আমাদের মতো যারা গণতন্ত্রে অনগ্রসর, তাদের দিকে তাকাই না।’ নিবন্ধে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আমাদের নির্বাচন কমিশন গঠন ও এর ক্ষমতাচর্চার সক্ষমতা নিয়ে সাংবিধানিক বিশ্লেষণ করা হয়। তাতে দেখা যায়, আমাদের সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠান গঠনে কতটা গলদ ও দুর্বলতা রয়েছে।
আবার মাহবুব তালুকদার প্রসঙ্গ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে মাহবুব তালুকদার বলেছেন, তাঁরা এ নির্বাচনে গ্লানি ছাড়া আর কিছু দিতে পারেননি। ওই নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’-এর অস্তিত্ব ছিল না। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২১৩টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে, এতেই বোঝা যায় নির্বাচন কেমন হয়েছে? এভাবে না অবাধ, না সুষ্ঠু, না নিরপেক্ষ, না আইনানুগ, না গ্রহণযোগ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ এ নির্বাচনে আগের রাতে ব্যালটভর্তি বাক্স পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি অকপটে বলেছেন, এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য। আদালতের নির্দেশ ছাড়া এ ভোটের তদন্ত করা যেত না, তা ঠিক নয়। নির্বাচন যথাযথ হয়নি মনে করলে কমিশন ফলাফল ঘোষণার পরও নির্বাচন বাতিল করতে পারে। তিনি এ নির্বাচনে ১০৩টি আসনের ২১৩টি ভোটকেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়া প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যেসব জাতীয় নির্বাচন হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ইভিএমের কার্যকারিতা নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
সাংবিধানিক পদে থেকে বৃহৎ শক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে অনেক সময়ই অনেক সত্য কথা বলা যায় না। এতে আমও যায়, ছালাও যায়। নির্বাচন নিয়ে মাহবুব তালুকদারের আরও কথা জমানো আছে। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের দিনগুলো নিয়ে তিনি নির্বাচননামা নামে ১ হাজার ২০০ পৃষ্ঠার একটি বই লিখেছেন; যা তাঁর মৃত্যুর আগে প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন না। হয়তো তিনি অনুকূল পরিবেশের অভাবের কথা বোঝাতে চেয়েছেন। (দেখুন: প্রথম আলো প্রকাশিত রিয়াদুল করিমের নেওয়া ‘একাদশ সংসদ নির্বাচন ব্যর্থতার গ্লানি’ শীর্ষক মাহবুব তালুকদারের সাক্ষাৎকার)।
আমরা ১৭ কোটি জনগণ যদি হয়ে থাকি হারাধন, তাহলে মাহবুব তালুকদার ছিলেন হারাধনের শেষ ‘ছেলে’। দ্বাদশ নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে হারাধনের শেষ সম্বলটুকুও বোধ হয় শেষ হয়ে গেল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আপাতত আর কোনো চাওয়া নেই। তবে একটা জিজ্ঞাসা রয়েছে অন্তরে, ত্রয়োদশ নির্বাচন কমিশনে হারাধনের কোনো ছেলে আছে তো?