নুরের রাজনৈতিক দল ঘোষণা আজ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:১২ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় নয়া পল্টনের প্রিতম জামান টাওয়ারে বাংলাদেশ ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও পেশাজীবী অধিকার পরিষদের অফিসে দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) নুর নিজে সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নুর বলেন, মঙ্গলবার আমরা বাংলাদেশ ছাত্র, যুব, শ্রমিক ও পেশাজীবী অধিকার পরিষদের উদ্যোগে একটি রাজনৈতিক দল ঘোষণা করতে যাচ্ছি। এর আগে ২০২০ সালের জুনে নুর তরুণদের নেতৃত্বে একটা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার ব্যাপারে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেন।
নুরুল হক নুর বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত ছাত্র আন্দোলন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্যতম যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের মুহসিন হলের উপ-মানব উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। স্কুল জীবনে তিনি ছাত্রলীগের স্কুল কমিটির দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন। এছাড়া তিনি বিতর্ক, অভিনয়সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।
২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশের কর্মসূচি দেয় নুরুল হক নূর।
ওই সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ভবনে নুর ও তার সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সদস্যদের ওপর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কর্মীরা হামলা করে। এতে নুরসহ তার সংগঠনের একাধিক ছাত্র আহত হয়।
পরে ২৪ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করে এবং হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত তূর্য এবং দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নুরু বিভিন্ন আন্দোলনে সাতবার হামলার শিকার হন। এছাড়া একই সালে ডাকসু নির্বাচন চলাকালীন রোকেয়া হলের প্রভোস্টকে লাঞ্ছিত ও ভাঙচুরের অভিযোগে নুরুল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর নূরসহ সাত জনকে আটক করার কয়েক ঘণ্টা পর তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। নূরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষণের মামলা করেছিল।
সেই মামলার বিরুদ্ধে শাহবাগে বিক্ষোভ করছিলেন নুরুল হক নুর ও সাধারণ ছাত্র পরিষদ নামে তার সংগঠনের সদস্যরা। সেই বিক্ষোভ চলাকালীন তাদের আটক করা হয় এবং কিছুক্ষণ পর মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।