avertisements 2

সুবর্ণজয়ন্তীর প্রথম চাওয়া খালেদা জিয়ার মুক্তি: দুদু

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৪৫ পিএম, ২০ মার্চ,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:২১ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সুবর্ণজয়ন্তীর প্রথম কাজটাই হওয়া উচিত ছিল। তার (খালেদা জিয়ার) মুক্তির দাবি করে অন্তত একটা দিন কোনো কর্মসূচি করা। তি‌নি ব‌লেন, কারণ বেগম খা‌লেদা জিয়া হলেন বড় মুক্তিযুদ্ধা,সে সময় তার মাসুম দুটি সন্তান নিয়ে তিনি জেলখানায় ছিলেন। কিন্তু এটা যেন আমরা ভুলে গেছি। জেনে বুঝে কেন যেন আমরা সেখান থেকে সরে গেছি। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১০ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে। সব ভাবনাই আমাদের মধ্যে আছে। কিন্তু একটা ভাবনা আমরা ভাবতে পারছি না। সেটা হচ্ছে উনি (বেগম খালেদা জিয়া) কারাগা‌রে মধ্যে আছে আর আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু সুবর্ণজয়ন্তীর প্রথম কাজটাই হওয়া উচিত ছিল। তার (খালেদা জিয়ার) মুক্তির দাবি করে অন্তত একটা দিন কোনো কর্মসূচি করা। কারণ তিনি হলেন বড় মুক্তিযুদ্ধা,সে সময় তার মাসুম দুটি সন্তান নিয়ে তিনি জেলখানায় ছিলেন। কিন্তু এটা যেন আমরা ভুলে গেছি। জেনে বুঝে কেন যেন আমরা সেখান থেকে সরে গেছি।

সুবর্ণজয়ন্তী আয়োজক কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাবেক ছাত্রদল এর সভাপতি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা মাথায় রাখলে, গণতন্ত্র মাথায় রাখতে হবে। গণতন্ত্র মাথায় রাখলে, এই স্বৈরতন্ত্র বিরোধিতা করতে হবে। মানে একটা সাজানো গোছানো অনুষ্ঠান করার কোন দরকার নেই। ইতিহাসের সাক্ষী যদি আমরা হই, ইতিহাসের কথাই বলতে হবে। এরা সরকার যা বলছে এগুলো তো আমরা মানি না। আর মানিনা বলেই আলাদা কমিটি আলাদা আয়োজন।

তিনি বলেন, এই কথাগুলো কেন বলছি। কারণ খন্দকার দেলোয়ার এখন আর নাই। তিনি সত্যের সেবক ছিলেন। ন্যায়ের প্রতীক ছিলেন। তিনি গণতন্ত্রের সাধক ছিলেন।সৈরাতন্ত্রকে কিভাবে বিতাড়িত করতে হয় তার শিক্ষক ছিলেন। আসুন আমরা তার কাছে ফিরে যাই।

বিএনপি’র সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার এর স্মৃতিচারণ করে কৃষক দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক বলেন,খন্দকার দেলোয়ার এর প্রশংসা নিয়ে অনেক কথা বলা যাবে। কিন্তু তার মনের ভেতরে একটা কষ্ট ছিল। এই কষ্টের কথাটা সহজে বলা যায় না। আমি তার মধ্যে সাহস দেখেছি কিন্তু যন্ত্রণাও দেখছি। কষ্টে তার চোখ থেকে অশ্রু ঝরেছে। এই অশ্রুর কথাটা সব জায়গায় বলা যায়না। যখন অনেকের হাতে কলম ছিল তাকে শুধু মন্ত্রী নয় সিনিয়র মন্ত্রী করার। সেই সময়ে কলমটা কাজ করে নাই। দিনশেষে দেওয়ার আর কিছু নাই। নেওয়ার অনেক কিছুই আছে। তখন কলমটা কাজ করেছে।রাজনীতিতে একটা মারাত্মক হচ্ছে। সম্মান দেওয়া যায়, কিন্তু যথাসময়ে সম্মান পাওয়া এটা বিরল ঘটনা। খন্দকার দেলোয়ার সাহসী এবং মহাসচিব ও চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালনকারী এসব অনেক কিছুই বলা যাবে। কিন্তু শেষ কথাটা, শেষ মুহূর্তের ঘটনা গুলো তো বলা যায় না। এটাই বাংলাদেশের মূল বিষয়।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, মানুষ নিতে পারে। খন্দকার দেলোয়ার এর কাছ থেকে আমরা নিয়েছি। কিন্তু কিছু কি দিতে পেরেছি? তার সন্তানকে আঘাত করা হয়েছে। তার সন্তানদেরকে যথাযথ সম্মান দিয়েছি নাকি উপেক্ষা করেছি? এসব কথা বলা খুব কঠিন। সহজভাবে বলা যায়না।

বিএনপির শীর্ষ নেতা বলেন, খন্দকার দেলোয়ার এর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমি অনেক কিছু শিখেছি। যদি ভালো কিছু করতে চান তাহলে খন্দকার দেলোয়ার এর প্রতি তাকাতে হবে। সাহস যদি আনতে চান খন্দকার দেলোয়ার প্রতি তাকাতে হবে।

সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আসুন সবকিছু বাদ দিয়ে আসল কাজটা করি। খন্দকার দেলোয়ার যেটা চেয়ে ছিলেন, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা চেয়ে ছিলেন। এবং তার মধ্যেমে তিনি তার স্বপ্নটা পূরণ করতে চেয়ে ছিলেন।আমরা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারলে খন্দকার দেলোয়ার এর প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা দেখানো হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস‌্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2