মৃত্যুর কতদিন পর বিয়ে করা যায়, গুগল সার্চ দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ০৭:২৯ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
নরেশ ভাট ও মমতা কাফলে/সংগৃহীত
স্ত্রীর মৃত্যুর কতদিন পর বিয়ে করা যায়, এমন তথ্য জানতে অনলাইনে সার্চ করে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় বংশদ্ভূত এক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের বিরুদ্ধে।
দাম্পত্য জীবনে ছোটখাটো অসুবিধার মুখোমুখি অনেকেরই হতে হয়। এসব সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে পথ চলেন সব দম্পতি। তবে এবার সামনে এসেছে এক লোমহর্ষক ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর ওই স্বামী স্ত্রীর মরদেহ গুম করে দিয়েছেন। পরে থানায় গিয়ে জানান, স্ত্রী নিখোঁজ। ২৯ জুলাইয়ের পর থেকে মমতাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে রীতিমতো অবাক হয় পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার বাসিন্দা ৩৩ বচল বয়সী নরেশ ভাট। তিনি নেপালের বাসিন্দা ২৮ বছরের মমতা কাফলেকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর আমেরিকায় নিয়ে যান স্ত্রীকে। তাদের ঘরে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। যার বয়স মাত্র দুই বছর।
তবে, বিয়ের পর মমতা-নরেশের সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছিল না। এর মধ্যেই হঠাৎ নিখোঁজ হন মমতা। অনুসন্ধানের একপর্যায়ে অভিযুক্ত নরেশের ফোন জব্দ করে পুলিশ। দেখা যায়, স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিন আগে নরেশ গুগল সার্চ করেছিলেন, “স্ত্রীর মৃত্যুর কতদিনের মধ্যে বিয়ে করা যায়?”
এরপর নরেশের বাড়িতে ২২ আগস্ট তল্লাশি চালায় পুলিশ। উদ্ধার করে ওয়ালমার্টের শোরুম থেকে কেনা তিনটি ছুরি। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হতে পারে। এ ছাড়া ঘরের একাধিক স্থানে এমন কিছু ছাপ পাওয়া যায়, যেগুলো রক্তের ছাপ বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর জেরে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে কারাগারে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত এ মার্কিন নাগরিক।