পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত দেশের ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ১২:৩৯ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
প্রতীকী ছবি
কোভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ইন্টারনেট আসক্তি, বিষণ্নতা এবং পর্নোগ্রাফি আসক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। দেশের স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এই সমস্যার বর্তমান প্রভাব বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে একটি জাতীয় পর্যায়ের গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশের স্কুলগামী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৯ শতাংশ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত।
চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটির স্কুল অব দ্য এনভায়রনমেন্টের পিএইচডি শিক্ষার্থী মো. আবু বকর সিদ্দিকের তত্ত্বাবধানে বিখ্যাত উইলি পাবলিশারের ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল হেলথ সায়েন্স রিপোর্টের আগস্ট সংখ্যায় গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
এ গবেষণায় মোট ৮ হাজার ৮৩২ জন কিশোর-কিশোরী অংশ নেয়। এতে দেখা গেছে, ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেট, ৭৬.৬ শতাংশ বিষণ্নতায় এবং ৬২.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পর্নোগ্রাফি আসক্তিতে ভুগছে।
গবেষণার বিষয়ে আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মেয়ে শিক্ষার্থীরা ছেলে শিক্ষার্থীদের তুলনায় বেশি বিষণ্নতায় ভুগছেন। অন্যদিকে ছেলে শিক্ষার্থীরা মেয়ে শিক্ষার্থীদের তুলনায় বেশি পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত। আর যারা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করেন কিন্তু শারীরিক অনুশীলন করেন না, তাদের মধ্যে বিষণ্নতা এবং পর্নোগ্রাফি আসক্তি বেশি।
ইন্টারনেট আসক্তি, বিষণ্নতা এবং পর্নোগ্রাফি আসক্তির নেতিবাচক প্রভাব কিশোর-কিশোরীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীরভাবে প্রভাব ফেলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে ঘুমের সমস্যা, একাকিত্ব এবং সামাজিক দক্ষতার হ্রাস দেখা দিতে পারে। বিষণ্নতা কিশোর-কিশোরীদের জীবনের প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয় এবং আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়ায়। পর্নোগ্রাফি আসক্তি কিশোর-কিশোরীদের যৌন আচরণ ও সম্পর্কের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সৃষ্টি করতে পারে, যা তাদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে।
গবেষণায় সহযোগিতা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইরিন পারভিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খালিদ সাইফুল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আখের আলী, ইউনিভার্সিটি সায়েন্স মালয়েশিয়ার আল মাহমুদ, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটির মেহেদী হাসান, মালয়েশিয়ার আলবুখারী ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শেখ মুযযাম্মিল হোসেন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোনিয়া মঞ্জুর, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের যোবায়ের আহমেদ এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) মোহাম্মদ মেসবাহউর রহমান।