avertisements 2

দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমসমাজে বেড়েছে ধর্মীয় অনুশীলন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:০০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিমদের মধ্যে আগের চেয়ে ধর্মীয় অনুশীলন বেড়েছে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এ অঞ্চলের প্রতি তিনজনের একজন নিজেকে নির্দিষ্ট সময়ে ধর্মীয় বিষয়ে তাদের মা-বাবার চেয়ে বেশি মনোযোগী বলে মনে করেন। ব্যক্তিগত খরচ, ফ্যাশন, ব্যাংকিং, ভ্রমণ ও শিক্ষা বিষয়ক সিদ্ধান্তে তাদের নিজস্ব বিশ্বাসের ব্যাপক প্রভাব আছে বলে জানা গেছে। আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়াভিত্তিক গবেষণা ‘ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন ইন্টেলিজেন্স’ ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ‘ভিএমএলওয়াই অ্যান্ড আর’-এর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এই অঞ্চলের ২৫০ মিলিয়ন মুসলিমের মাত্র ২১ শতাংশ মনে করে যে তারা ধর্মীয় বিষয়ে তাদের বাবা-মায়ের চেয়ে কম মনোযোগী। অপরদিকে তাদের ৪৫ শতাংশ নিজেদের ধর্মপরায়ণ বলে মনে করে।

ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার এক হাজার ভোক্তার সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৯১ শতাংশ মুসলিমের কাছে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক অন্যান্য বিষয়ের চেয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে তা স্বাস্থ্য ও পরিবারের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে তারা। তাদের মাত্র ৩৪ শতাংশ সম্পদকে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে এবং ২৮ শতাংশ তাদের আবেগকে মূল্যায়ন করে এবং ১২ শতাংশ খ্যাতিকে অগ্রাধিকার দেয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান ধর্মীয় বিশ্বাস এবং পশ্চিমা রীতিতে ভোগবাদ বিস্তারের ফলে এসব ক্ষেত্রে মুসলিম প্রভাব তৈরি হয়েছে। তাই খাদ্য, শালীন ফ্যাশন, ফাইনটেক থেকে শুরু করে মুসলিম ডেটিং অ্যাপস ও হালাল ভ্রমণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইসলামী রীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন ইন্টেলিজেন্সের এশিয়া প্যাসিফিক ডিরেক্টর চেন মে ইয়ে বলেছেন, ‘কোনো কিছু ক্রয়ের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মুসলিম গ্রাহকদের ধর্মীয় বিশ্বাস ক্রমবর্ধমান প্রভাব ফেলছে। ফলে নিত্য-নতুন প্রযুক্তি তাদের কাছে নতুন প্রশ্ন নিয়ে আসছে এবং তারা এর হালাল বা হারাম হওয়ার দিকগুলো যাচাইয়ের প্রবণতাও বাড়ছে। ’

প্রতিবেদন অনুসারে, মুসলিম ভোক্তাদের কাছে একটি পণ্য কেনার ক্ষেত্রে তা হালাল বা জায়েজ কি না বিষয়টি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি ৯১ শতাংশ উত্তরদাতার মতে বিষয়টি অর্থ, গুণগত মান ও পরিবেশগত বিবেচনার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে ব্যাংকিং বা বিনিয়োগ পণ্য ইসলামী আইন অনুসারে হচ্ছে কি না তা ৬০ শতাংশের বেশি মুসলিম গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে। আর হালাল খাবারের প্রাপ্যতাকে ভ্রমণের স্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রধান কারণ বলে মনে করেন ৭৭ শতাংশ মুসলিম।

আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় মুসলিমদের বিশ্বাসের প্রভাব ক্রমাগত বাড়ছে। তাই জরিপে অংশ নেওয়া ৮৫ শতাংশ মুসলিমদের জন্য তৈরি ভার্চুয়াল স্পেস দেখতে চায় এবং ৭৮ শতাংশ ভার্চুয়াল ধর্মীয় বিষয়ে দেখতে আগ্রহী। এদিকে ৫৯ শতাংশ মনে করেন না যে মেটাভার্স ইসলামী আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ওয়ান্ডারম্যান থম্পসন ইন্টেলিজেন্সের লেখক ও গবেষক সাফা আরশাদুল্লাহ বলেছেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া শুধু মুসলিম বাজার নয়, বরং এর চেয়েও বেশি কিছু। এটি নতুন বৈশ্বিক ট্রেন্ডের অন্যতম পরীক্ষার স্থান। এখানে যা ঘটে তা সারা বিশ্বের মুসলিমদের অবিচ্ছিন্নভাবে বিশ্বাস ও উদ্ভাবনী উপায়ে কাজ করতে অনুপ্রেরণা দেয়। ’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2