avertisements 2

ঢাকা মেডিকেল কলেজে ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ আগস্ট, বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:৩৯ পিএম, ৮ মে, বুধবার,২০২৪

Text

জয়া কুণ্ড

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) ডা. আলিম চৌধুরী ছাত্রীনিবাসে জয়া কুণ্ড (২২) নামের এক শিক্ষার্থী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি এমবিবিএস পঞ্চম বর্ষের কে-৭৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি খুলনা জেলার ফুলবাড়ী গেইট এলাকার কুয়েট রোডে। হলরুমে তিন শিক্ষার্থী থাকতেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ঢামেকের ডা. আলিম চৌধুরী ছাত্রীনিবাসের তৃতীয় তলার ৪৫ নম্বর রুমে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে ছিলেন ওই শিক্ষার্থী। পরে সহপাঠীরা তাকে দেখতে পেয়ে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি।
 

জয়ার এমন মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছে না। সামাজিক মাধ্যমে জয়ার মতো শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে চলছে হাহাকার। বুয়েট এবং মেডিক্যাল কলেজ দুই জায়গাতেই চান্স পেয়েছিলেন জয়া। চান্স পেয়েছিলেন ঢাবিতেও।

স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়াদের নিকট জয়া ছিলেন অনুকরণীয়। তাকে অনুসরণ করেই অনেকে মেডিক্যাল কলেজে এসেছেন বলে সামাজিক মাধ্যমে বলা হয়।

সায়মা নামের একজন লিখেছেন, এ রকম কেন হয়? আর কত কী হারাব জীবনে? ছোটবেলা থেকে যে-ই মানুষটাকে অনুসরণ করে আসছি, যার প্রত্যেকটা ছবি, পোস্ট আমার গ্যালারিতে আজীবন, সেই মানুষটা আর নেই।কাকে দেখে পথ চলব আর? এই প্রতিযোগিতার যুদ্ধ একটা উজ্জ্বল নক্ষত্রকে কিভাবে শেষ করে দিতে পারে? 

রোতশী নামের একজন লিখেছেন, আজকে আমার বলার মতো আর কিছুই নেই। মেডিক্যালে আসার আগে যার গল্প শুনতাম, ঢামেক বুয়েট একসাথে ক্র্যাক করেছে, যাকে দেখে অনুপ্রেরণা পেতাম, যেই আপু মেডিক্যালে আসার পর ভরসা দিয়েছিল এই বলে, ‘গণ্ডারের চামড়া বানাও, তাহলে সব কিছু সহ্য করে পার করতে পারবা মেডিক্যাল’, সেই আপু আর নেই ভরসা দেওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, আপুর সাথে লাস্ট ডিএমসিডেতে লুডু খেলছিলাম একসাথে। সেই প্রতিটা চালের পর তার এক্সপ্রেশন এখনো মাথায় ঘুরছে। একজন জীবন্ত মানুষ, একজন অনুপ্রেরণা, এখন নিষ্প্রভ―বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। হলের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে আর কথা বলা হবে না, আর কার্ডের আগে আপুর কাছে যাইতে পারব না। এত ভালো, ডাউঞ্জ টু আর্থ মানুষ, সুপার ট্যালেন্টেড আর মানবিক, সদা হাস্যোজ্বল, মনে হচ্ছে ওই তো আপু আছেন, সিঁড়ি বেয়ে উঠছেন। যেখানেই থাকবেন, ভালো থাকবেন আপু। 

আরেকজন লিখেছেন, আর মানুষ ডিপ্রেশন, স্ট্রেস, মেন্টাল হেলথ রিলেটেড বিষয়গুলো তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে দেখে!

জয়া পড়তেন খুলনার গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে। সেই স্কুলের শিক্ষক কবির আলম খান নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, জয়া ছিল অত্যন্ত মেধাবী, একই সঙ্গে মার্জিত। আমরা একজন ভবিষ্যতের ডাক্তার হারালাম।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2