ইতালি দূতাবাসের সামনে প্রবাসীদের মানববন্ধন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৪৮ পিএম, ১২ অক্টোবর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০৯:৪৪ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
সৌদির পর এবার ভিসার মেয়াদ বাড়ানো, সহজ শর্তে ফ্লাইট চালুসহ ৪ দফা দাবি তুলেছেন ছুটিতে এসে আটকে পড়া ইতালি প্রবাসীরা। গুলশানে ইতালির দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন করেছেন তারা।
মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় ইতালি। এতে আটকা পড়েন ছুটিতে দেশে আসা প্রবাসীরা। এরইমধ্যে মধ্যে শেষ হয়ে গেছে অনেকের ভিসার মেয়াদ। এই পরিস্থিতিতে কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
প্রবাসীরা বলছেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তাদের ফেরার বিষয়ে দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তাই ভিসার মেয়াদ বাড়ানো, সহজ শর্তে ফ্লাইট চালুসহ ৪ দফা দাবিতে গুলশানে ইতালি দূতাবাসের সামনে মানববন্ধন করেন প্রবাসীরা।
পরে মানববন্ধন থেকে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল তাদের দাবি নিয়ে যান ইতালি দূতাবাসে। প্রবাসীরা জানিয়েছেন, দূতাবাস থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে তাদের। তবে, ভিসা বা টিকিটের জন্য আন্দোলনে নামার বিষয়টি সমর্থন করছেন না বিশ্লেষকদের অনেকে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে মার্চে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রাখে। তবে সে সময়ে ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় বেশকিছু চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফেরেন ইতালি প্রবাসীরা। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকেও চার্টার্ড ফ্লাইটে ইতালিতে ফেরেন অনেকেই। পরবর্তীতে স্বাস্থ্যবিধি ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নীতিমালা অনুসরণ করে ১৬ জুন থেকে সীমিত পরিসরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু হয়। বাংলাদেশ থেকে কাতার এয়ারওয়েজ কাতার হয়ে বিভিন্ন দেশে যাত্রীদের নিয়ে যায়। এরমধ্যে অন্যতম গন্তব্য ছিল ইতালি। গত ৬ জুলাই বাংলাদেশ থেকে রোমে যাওয়া একটি ফ্লাইটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দেয় ইতালি। এ ঘোষণার পরও ৮ জুন বাংলাদেশ থেকে কাতার হয়ে ইতালিতে যাওয়া দুটি ফ্লাইটের ১৬৮ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে দেয় দেশটি।
এদিকে, টিকিটের অপেক্ষায় রোববারও সৌদি এয়ারলাইন্সের কাউন্টারে ভিড় করেন প্রবাসীরা। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে ভিসা ও ইকামার মেয়াদ শেষ হবে এমন ৬০০ জনের মতো প্রবাসীকে টিকিট দেয়া হয়। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে যাদের ভিসা ও ইকামার মেয়াদ শেষ হবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকিট পাচ্ছেন তারা।