১৫ গ্রামে আসছে শহরের সুবিধা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:৪৯ এএম, ৫ অক্টোবর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৩৩ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
আমার গ্রাম, আমার শহর’ উদ্যোগের আওতায় দেশের ১৫টি গ্রামে শহরের সুবিধা দিয়ে প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রোববার (৪ অক্টোবর) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা’ বাস্তবায়নে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, আটটি বিভাগের আটটি গ্রাম ও সাতটি বিশেষ অঞ্চলের সাতটিসহ মোট ১৫টি গ্রামকে আমার গ্রাম, আমার শহরের উদ্যোগের আওতায় আনতে প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ উদ্যোগ গ্রহণের বিশেষ অঙ্গীকার করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে উন্নত যোগাযোগ, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বাড়ানো, কম্পিউটার ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামকে আধুনিক শহরে রূপান্তর করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষকে অবহেলিত রেখে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়, তাই গ্রামে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হবে।
তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নত জীবনের আশায় মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরে আসছে। আমরা যদি গ্রামে শহরের সব সুবিধা নিশ্চিত করি তাহলে মানুষ আর শহরে আসবে না। গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন কল-কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে।
‘গ্রামে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে এর গুণগতমান ও টেকসই নিশ্চিত করা। ’
মন্ত্রী বলেন, গ্রামে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা তৈরি করার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তাই সব মন্ত্রণালয় একত্র হয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এ পরিকল্পনা বিভিন্ন পর্যায়ে যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।
সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ’আমার গ্রাম, আমার শহর’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে নিজ নিজ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর জন্য সচিবদের প্রতি আহ্বান জানান মো. তাজুল ইসলাম।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সিনিয়র সচিব/সচিব এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।