পুলিশকে ৫০০ কোটি, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু করে দিবেন মুসা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ অক্টোবর,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৮ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বাংলাদেশের বিতর্কিত ধনকুবের মুসা বিন শমসেরকে রহস্যময় মানুষ মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার (গুলশান) হারুন অর রশীদ। মঙ্গলবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা ডিবি কার্যালয়ে মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে এ কথা বলেন ডিবির এ কর্মকর্তা। সংবাদ সম্মেলনে হারুন বলেন, উনাকে (মুসা) আমাদের রহস্যময় মানুষ মনে হয়েছে। আমরা তাকে বলেছি, সুইস ব্যাংকে আপনার ৮২ কোটি ডলার আছে, অথচ আপনার কাগজ থাকে কাদেরের অফিসে?
হারুন বলেন, এ প্রশ্নের জবাবে মুসা জানান, তার কলমের দাম ১০ কোটি টাকা, ঘড়ির দাম ৮ কোটি টাকা। সুইস ব্যাংক থেকে তিনি ৮২ কোটি ডলার পেলে পুলিশে ৫০০ কোটি টাকা দেবেন, দুদককে বিল্ডিং করে দেবেন, দ্বিতীয় পদ্মা সেতু করে দেবেন। উনি কী টাইপের মানুষ আমরা বুঝি না। তবে ভুয়া অতিরিক্ত সচিব আবদুল কাদেরের প্রতারণার দায় মুসা বিন শমসের এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করেন হারুন অর রশীদ। উনার সঙ্গে ভুয়া অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি কাদেরের যে সম্পর্ক, এর দায় তিনি এড়াতে পারবেন না। কারণ উনার ছবি দেখিয়ে কাদের বিভিন্ন মানুষকে ঠকিয়েছেন। কাদেরকে নিজের আইন উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন মুসা। তাকে ২০ কোটি টাকার চেকও দিয়েছেন।
ডিবি সূত্র জানায়, আব্দুল কাদের চৌধুরী মুসা বিন শমসের আইন উপদেষ্টা পরিচয় দিতেন। তিনি নয়তলা বাড়ি কিনেছেন গাজীপুরের বোর্ডবাজারে। গাজীপুরের পুবাইলে রয়েছে আট বিঘার বাগানবাড়ি। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকসহ আরও কয়েকটি ব্যাংকে রয়েছে তার একাধিক অ্যাকাউন্ট। যেখানে রয়েছে লাখ লাখ টাকা। অঢেল সম্পদের মালিক এই আব্দুল কাদেরের নেই কোনো বৈধ উপার্জন। প্রতারণা ও মিথ্যা তার একমাত্র পুঁজি। মুসা বিন শমসের এই কাদেরকে ‘বাবা’, ‘সোনা’ ডাকতেন উল্লেখ করে হারুন অর রশীদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের দাবি করেছেন তিনি কাদেরের প্রতারণার বিষয়ে কিছু জানেন না। আমরা তাকে বলেছি, একজন নাইন পাস লোককে আপনি না বুঝে কীভাবে নিয়োগ দিলেন, তার থেকে ১০ কোটি টাকা নিয়ে কীভাবে লাভসহ ২০ কোটি টাকার চেক দিলেন? ডিবির যুগ্ম কমিশনার বলেন, মুসা সাহেব কাদেরের সম্পর্কে বেশি জানেন না বললেও আমরা তার সঙ্গে কাদেরের অজস্র কথপোকথন পেয়েছি। প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবারও ডাকা হতে পারে।