avertisements 2

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের স্পষ্ট রোডম্যাপ চাইলো :বাংলাদেশে

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের স্পষ্ট রোডম্যাপ চাইলো : বাংলাদেশে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৩১ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘকে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ প্রস্তুত করার অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার (১৬ জুন) বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে এ অনুরোধ করেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, ‘মানবিক বিবেচনায় আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। তবে এই সঙ্কটটির সমাধান নিহিত রয়েছে মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের ওপর, যা গত চার বছরে সম্ভব হয়নি। আমরা চাই প্রত্যাবর্তন বিষয়ে জাতিসংঘ স্পষ্ট একটি রোডম্যাপ তৈরি করুক।’

কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘসময় ধরে অবস্থানের নেতিবাচক দিক বিশেষ করে ঐ এলাকায় বসবাসরত মূল জনগোষ্ঠীর ওপর এর বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অতিসত্ত্বর যদি প্রত্যাবাসন শুরু না হয় তাহলে এটি কেবল এই এলাকারই সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে না, বরং তা ওই অঞ্চলের বাইরেও অস্থিরতা তৈরি করবে।’ বাংলাদেশ

বিশেষ দূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাসানচর প্রকল্পের কথা অবহিত করে বলেন, ‘এখানে রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে।’ জাতিসংঘ যাতে ভাসানচরে মানবিক সহায়তা প্রদান করে সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিশেষ দূতকে ভাসান চরে পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

মিয়ানমারে যাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা এবং অচিরেই যাতে প্রত্যাবাসন কাজ শুরু করা যায় সেজন্য জাতিসংঘ সদস্যরাষ্ট্রসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের সকল অংশীজনদের সাথে বিশেষ দূত যোগাযোগ ও আলোচনা অব্যাহত রেখেছে মর্মে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এছাড়া ভাসানচর পরিদর্শন করতে বিশেষ দূত তার আগ্রহের কথা জানান তিনি।

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের প্রধান আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়ার সাথে ভার্চুয়াল এক বৈঠক মিলিত হন।

এসময় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন ও অংশগ্রহণের প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করেন তিনি। শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার উদাহরণ টেনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তিরক্ষী বিশেষ করে নারী শান্তিরক্ষীদের ত্যাগের কথা স্মরণ করেন।

এসময় পিস অপারেশন বিভাগ নারী শান্তিরক্ষীগণকে আরও উৎসাহিত করতে বিশেষ ডকুমেন্টারিসহ অন্যান্য প্রচার সামগ্রী প্রস্তুত করতে আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যাক্রুয়াকে অনুরোধ জানান তিনি।

উভয় বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে অংশগ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2