avertisements 2

ভারতের সঙ্গে ৩০ দিন সীমান্ত বন্ধের দাবি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৩:৪৪ এএম, ২৫ এপ্রিল,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:৫৪ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

বাংলাদেশের জন্য নতুন হুমকি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট। তিনবার রূপ পাল্টাতে সক্ষম এ নতুন ধরন ছড়াচ্ছে অতি দ্রুত। সেই সঙ্গে এটি তিন গুণ বেশি শক্তিশালীও। দেশে এর সংক্রমণ রোধে আপাতত ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধের পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. বে-নজীর আহমেদের। আর তা সম্ভব না হলে ডাবল ডোজ টিকার সনদ নিয়েই বাংলাদেশে ঢোকা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

দেশে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু রেকর্ড ছাড়াচ্ছে। সর্বাত্মক লকডাউনসহ নানা বিধিনিষেধে চলছে সংক্রমণের গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।

পাশের দেশ ভারতেও করোনা মহামারিতে লাগাম ছাড়িয়েছে। করোনার নতুন রূপ ট্রিপল মিউট্যান্ট বা তিনবার রূপ পরিবর্তনকারী ভাইরাসটি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে, যা অতি দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং তিনগুণ বেশি শক্তিশালী হচ্ছে। এতে রোগীর মৃত্যু দ্রুত হচ্ছে বলেই মনে করছে কর্তৃপক্ষ। শিশুদেরও যা ভোগাচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে তার আশঙ্কা, ভারতের করোনার নতুন রূপ বাংলাদেশের জন্যও চরম ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. বে-নজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের জন্য বড় ঝুঁকি হতে যাচ্ছে দুটোভাবে। একটা হলো ভারতে যে অসংখ্য সংক্রমণ হচ্ছে সেখান থেকে এ সংক্রমণটা আমাদের দেশে আসতে পারে। যেহেতু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ অনেক বেশি। লাখ লাখ মানুষ যায় ভারতে। এটা হচ্ছে বড় ঝুঁকি।

এ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের তাই পরামর্শ, এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বাংলাদেশকে। এ ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত আপাতত বন্ধ রাখার পরামর্শ তার। যদি তা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ভারত থেকে বাংলাদেশে কেউ আসলে ডাবল ডোজ টিকার সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার তাগিদ দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে যে নিজেদের সমস্যা আছে করোনার, তারওপর ভারত থেকে এসে সমস্যাটা যেন বেশি গভীর না করে। সে ব্যাপারে আমাদের খুব মনযোগ দেয়া উচিত। ভারত থেকে আসলে তাকে দুই ডোজ টিকার সার্টিফিকেট দেখানো উচিত।’

এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে কেউ যদি ভারতে যায় জরুরি প্রয়োজনে, সে ক্ষেত্রে তাকেও ডাবল ডোজ টিকার সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ তার।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2