বিচারক ও নারীর মন বোঝা কষ্টকর: অ্যাটর্নি জেনারেল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ নভেম্বর,রবিবার,২০২৫ | আপডেট: ০৪:৪৯ এএম, ১৬ নভেম্বর,রবিবার,২০২৫
অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সংবিধান সংশোধন ও মামলার রায় প্রসঙ্গে বলেছেন, রায় কেমন হবে, তা আগে থেকে বলা সম্ভব নয়। বিচারকের মন এবং নারীর মন বোঝা কষ্টকর। কখন কোন দিকে টার্ন নেবে, তা কেউ জানে না। তাই রায় প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত কারো পক্ষ বা বিপক্ষের ঝোঁক অনুমান করা সম্ভব নয়।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বাংলা সাহিত্যে কবি গোলাম মোস্তফার অবদান শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল রায়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রসঙ্গে বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি আওয়ামী লীগ রায়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আমরা সেটাও দেখছি। আইনগতভাবে যা পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, তা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যেই জানা আছে, আওয়ামী লীগ একটি নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত। তাই যে কোন ধরনের কর্মসূচি আইন বিরোধী হিসেবে গণ্য হবে। আইন নিজস্ব গতিতে চলবে এবং সেভাবেই এগিয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলার উপর প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি না। আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ইতিমধ্যেই বুঝেছেন, দলবল ও আত্মীয়স্বজন নিয়ে পালালে অসংখ্য কর্মী অরক্ষিত থাকে। তাই তারা কোন রিস্ক নেবে তা তারা জানে।
আসাদুজ্জামান বলেন, গণভোট ইতিমধ্যেই সব রাজনৈতিক দল গ্রহণ করেছে। সংবিধান সংশোধনীর মামলায় আদালতে আমি বলেছি, দেশের সংবিধান ও আইন নির্ধারণের ক্ষমতা বিজয়ী শক্তির হাতে থাকে। উদাহরণ হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭২ সালের সংবিধান, ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং সাম্প্রতিক গণভোটের উদাহরণ তুলে ধরেছেন। এভাবেই সংবিধান ও গণভোট দেশের আইন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে।
অ্যাটর্নি জেনারেল করেন, গণভোট ও সংবিধান নির্ধারণের মাধ্যমে দেশের মানুষই আগামী দিনের পথ দেখাবেন। এটি শুধু আইনগত নয়, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ।





