হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে চিঠি, এখনই কোনও মন্তব্য করছে না ভারত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪ | আপডেট: ১০:৫৯ এএম, ১১ জুলাই,শুক্রবার,২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর জন্য বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য গতকাল সোমবার নোট ভারবাল (কূটনৈতিক বার্তা) পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে সেই নোট ভারবাল ভারত সরকারের কাছে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সোওয়াল। তবে তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তারা এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করবেন না।
পররাষ্ট্র্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, তাড়াহুড়ো করার বিষয় নয় এটি। সবে নোট ভারবাল এসেছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার পর কিছু জানানো হতে পারে।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থার কাছেও ইতিমধ্যেই রেড নোটিশ জারি করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে চলে এসেছেন। এখন তিনি নয়াদিল্লিতে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন। হাসিনার দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ২৩৩টি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৮টিই খুনের মামলা। হাসিনাসহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছেন।
এই আবহে ভারতের কাছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের হাসিনাকে ফেরত চাওয়ার বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের কূটনৈতিক মহলেও আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। ২০১৩ সালে এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। আর ২০১৬ সালে সংশোধিত হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলার লক্ষ্যে নিয়েই এই চুক্তিটি হয়েছিল।
তবে চুক্তিতে বলা হয়েছে, প্রত্যর্পণের জন্য এমন অপরাধীকেই ফেরত পাঠানো হবে যে, আবেদনকারী দেশ এবং যে দেশ আবেদন করেছে সেখানে এক বছরের বেশি সাজা হয়েছে। চুক্তিতে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করারও সুযোগ রয়েছে যদি অনুরোধের চরিত্র রাজনৈতিক হয়। তবে হাসিনার বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ রয়েছে যা রাজনৈতিক চরিত্রের বাইরেই পড়ে।
তবে ভারত সরকারের অবস্থান কী হবে এ ব্যাপারে তা নিয়ে নানা যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি উঠে আসছে। পর্যবেক্ষক মহলের মতে, ভারত ধীরে চলার নীতি নিয়ে চলবেন। প্রত্যর্পণ চুক্তির আইনি দায়বদ্ধতার কথা মাথায় রাখলেও ভারত সরকারকে ভূ-রাজনৈতিক ও কূটনীতির বৃহত্তর প্রেক্ষিতেই পদক্ষেপ করতে হবে।
আরও পড়ুন
এই বিভাগের আরো খবর

আল জাজিরার প্রতিবেদন: হাসিনার পতনে ভূমিকা রাখা র্যাপ-মিম কি নতুন রাজনৈতিক আবহের জন্ম দিচ্ছে?

এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা সাময়িক বরখাস্ত

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতনের ভিডিও ছড়ানোর ‘নেপথ্যে’র ব্যক্তি ৫ দিনের রিমান্ডে
