ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ যেখানে আঘাত হানতে পারে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৩৬ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
প্রতীকী ছবি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
ঐ বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ সন্ধ্যা ৬টায় পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোররাতের মধ্যে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার মধ্যে (ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টা) ভারতের দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে আঘাত করতে পারে। বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ‘মিগজাউম’ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত করার আশঙ্কা না থাকলেও এর প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং কক্সবাজারকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি থেকে মঙ্গলবার বাংলাদেশের দিকে হালকা কিছু মেঘ বেরিয়ে আসতে পারে। এতে দেশের উপকূলীয় এলাকার কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি চলে যাওয়ার পরে আরো বেশি পরিমাণ মেঘ আসতে পারে বাংলাদেশের দিকে। ফলে বুধ ও বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণও বাড়তে পারে।