মুঠোফোনে কত রিচার্জ করলেন, জানাতে হবে এনবিআরকে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৩৭ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
জীবনযাত্রার খরচের বিবরণীতে মুঠোফোনের রিচার্জ, ইন্টারনেট প্যাকেজের তথ্যও দিতে হবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। মুঠোফোনে প্রতি বছর কতো টাকার রিচার্জ করলেন, সেই হিসাবও জানাতে হবে। জীবনযাত্রার খরচে ৯ ধরনের তথ্য দিতে হবে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়ার সময়। এমনটিই হচ্ছে এনবিআরের নতুন আইনে।
প্রতি বছর জুলাই থেকে পরের বছরের জুন পর্যন্ত প্রতিবার রিচার্জের হিসাব টুকে রাখতে হবে। কারণ, আয়কর রিটার্ন দেয়ার সময় আপনাকে মুঠোফোনের বিলের খরচ দেখাতে হবে। একইভাবে ইন্টারনেটের পেছনে কতো খরচ করলেন, সে তথ্যও জানাতে হবে। নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, রিটার্ন জমার সময় জীবনযাত্রার খরচের বিবরণী দাখিলের সময় এসব তথ্য দিতে হবে। আগের আইনে এটা ছিল না। এ ছাড়া গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বিলের তথ্যও দিতে হবে।
নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী, রিটার্ন জমার সময় জীবনযাত্রার খরচের বিবরণী দাখিলের সময় এসব তথ্য দিতে হবে। আগের আইনে এটা ছিল না। এ ছাড়া গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ বিলের তথ্যও দিতে হবে। আইটি ১১গ (২০২৩) ফরমে জীবনযাত্রার ব্যয়–সম্পর্কিত বিষয়াবলি দিতে হয়।
অবশ্য বার্ষিক পাঁচ লাখ টাকার বেশি আয় এবং ৪০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ থাকলেই কেবল সম্পদের বিবরণীসহ জীবনযাত্রার হিসাব–নিকাশ জমা দিতে হবে। এই সীমা অতিক্রম না করলেও চাইলে যেকোনো করদাতা তাঁর জীবনযাত্রার বিবরণী জমা দিতে পারেন।
এ বিষয়ে জেএনজে অ্যাসোসিয়েটসের ম্যানেজিং পার্টনার ও কর আইনজীবী মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, একজন করদাতার পক্ষে সারা বছরের মুঠোফোনে কত টাকা রিচার্জ করলেন, তার হিসাব রাখা কঠিন। সাধারণত একসঙ্গে বেশি অর্থ রিচার্জ করেন না মুঠোফোন ব্যবহারকারীরা। অনেক ব্যবহারকারী দুই-চার দিন পরপর মুঠোফোনে টাকা রিচার্জ করেন। নতুন এই বিধানের ফলে অনেক করদাতার ঝামেলা বাড়বে।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, জীবনযাত্রার ব্যয়ের বিবরণীর মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেখতে চায়, আপনি কতটা ধনী, আপনি কত আয় করেন, কত খরচ করেন, আপনার সামাজিক অবস্থান কী। আপনার বৈধ আয়ের সঙ্গে আপনার জীবনযাত্রার মিল আছে কি না।
নতুন আইন অনুযায়ী, জীবনযাত্রার বিবরণীতে ৯ ধরনের তথ্য দিতে হবে। এগুলো হলো—ব্যক্তিগত ও পরিবারের ভরণপোষণ খরচ, আবাসন–সংক্রান্ত খরচ, গাড়ির ব্যয়, পরিষেবা খরচ, শিক্ষা ব্যয়, নিজ খরচে দেশ-বিদেশ ভ্রমণ ও অবকাশ–সংক্রান্ত তথ্য, উৎসবের খরচ, সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য উৎসে করের হিসাব, প্রাতিষ্ঠানিক ও অন্যান্য উৎস থেকে নেওয়া ঋণের সুদ পরিশোধের তথ্য।