সাময়িক বরখাস্ত হচ্ছেন এডিসি হারুন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:২৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ফাইল ছবি
ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে বেধড়রক মারধরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) থেকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চ্যানেল 24-কে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে বদলি করা হয়। পরে একই দিন সন্ধ্যায় তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এদিকে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন। তারা দেখা করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
সাদ্দাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, যে অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশের সব শ্রেণির নেতাকর্মীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া যেন নিশ্চিত করা হয় এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় সেজন্য আমরা গতকাল (রোববার) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। পরে আজ (সোমবার) ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ডিএমপি কমিশনার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে ছাত্রলীগের ওই দুই নেতার দেখা করার পর শোনা যায়—এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। পরে বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে জানতে চাওয়া হলে নিশ্চিত করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইমকে নির্যাতন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদ।
জানা যায়, নারীঘটিত একটি ঘটনার জেরে শাহবাগ থানায় তাদের নির্যাতনের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মীমাংসা করেন।