avertisements 2

সংগ্রাম কখনও বিফলে যায় না

৪৩ লাখ মামলার নিষ্পত্তি সহজ কথা নয় : প্রধান বিচারপতি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ সেপ্টেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:১৭ এএম, ৫ মে,রবিবার,২০২৪

Text

প্রধান বিচারপতি ছবি: সংগৃহীত 

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ৪৩ লাখ মামলা মাত্র ১৮০০ বিচারক দিয়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করা চাট্টিখানি কথা নয়। মামলা নিষ্পত্তির হার ১২৫ শতাংশে উন্নীত করা গেলে কয়েক বছরের মধ্যে মামলাজট কমানো সম্ভব হবে।

বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ৬ তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমানুল্লাহ হাদী। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর-২ আসনের সাংসদ মীর মোস্তাক আহমেদ, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মো. আবদুল আলিম আল রাজী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

প্রধান বিচারপতি এই কলেজের সাবেক ছাত্র। এ সময় তিনি কলেজ জীবনের স্মৃতি তুলে ধরেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, যদি কেউ আমাকে প্রশ্ন করে জীবনের সবচেয়ে ভালো দিনগুলো কোথায় কাটিয়েছি, জবাবে আমি বলব সাতক্ষীরায়। সাতক্ষীরায় কাটানো দুইবছর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল।

তিনি বলেন, ‘আমি কুষ্টিয়ার ছোট্ট একটি গ্রাম থেকে সংগ্রাম করতে করতে দেশের প্রধান বিচারপতি হয়েছি। সংগ্রাম কখনও বিফলে যায় না। উপরে উঠতে গেলে সংগ্রাম করতে হবে।’

এর আগে প্রধান বিচারপতি সাতক্ষীরা আইনজীবি ভবনে 'ন্যায়কুঞ্জ' নামে একটি বিশ্রামাগার উদ্বোধন করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার ছিলো হাসান ফয়েজ সিদ্দীকির বিচারিক জীবনের শেষ কর্মদিবস। ৬৭ বছর পূর্ণ করে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি অবসরে যাবেন। প্রধান বিচারপতি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ১৯৭৫-৭৬ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। এখান থেকেই তিনি আইএসসি (বর্তমানে ইন্টারমিডিয়েট) পরীক্ষায় পাশ করেন। 

১৯৫৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ায় জন্ম গ্রহন করেন হাসান ফয়েজ সিদ্দীকি। তার বাবা আব্দুল গফুর মোল্লার সরকারি চাকরির সুবাদে তিনি দীর্ঘকাল সাতক্ষীরায় থেকেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে ১৯৮১ সালে কুষ্টিয়া জেলা আদালতে আইনজীবী হিসাবে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এবং ১৯৯৯ সালের ২৯ মে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসাবে কাজ করার সুযোগ পান। পরে ২০০৯ সালের ২৫ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ আপিল বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসাবে নিয়োগ পান।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2