avertisements 2

‘ধানক্ষেতে খেলতে দিলে ওখানেও খেলতে হবে’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১২:২০ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪

Text

নিজেদের চাওয়া মতো ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে খেলতে নেমেও চট্টগ্রামে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। পঞ্চম দিনে টেস্ট নিয়ে গেলেও দুই সেশন আগেই ৮ উইকেটে বড় ব্যবধানে হার মানে মুমিনুল হকরা। ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে আলোচনায় তাই উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরের উইকেট কেমন হবে, এসব নিয়ে অবশ্য ভাবছেন না মুমিনুল। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়ে দিলেন, ধানক্ষেতে খেলতে দিলে সেখানেই খেলতে হবে।

এমনিতেই মিরপুরের উইকেট কিছুটা স্লো ও টার্নিং হয়ে থাকে। তবে কি পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন উইকেটই টেস্ট হচ্ছে? ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল জানালেন, পাকিস্তান উপমহাদেশের দল হওয়ায় স্পিন উইকেট না হওয়াই ভালো। তাই ফ্লাট উইকেটই চাওয়া বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের, ‘আপনারা সবাই জানেন উপমহাদেশের দলগুলো স্পিন খুব ভালো খেলে। আমার কাছে মনে হয় উপমহাদেশের দলগুলোর বিপক্ষে স্পিন উইকেটে না খেলাই উচিত। অন্যান্য সব দলই তাই করে। আমার মনে হয় ফ্লাট উইকেটই ভালো।’

তবে পেশাদার দল হিসেবে যেকোনও উইকেটে খেলার মানসিকতা থাকা উচিত বলে মনে করেন মুমিনুল, ‘একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে উইকেট নিয়ে অজুহাত দেওয়াটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি নিজেও এর সঙ্গে কখনও একমত হই না। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে ধানক্ষেতে খেলতে দিলে ওখানেও খেলতে হবে। এসব অজুহাত দিসেবে দাঁড় না করিয়ে জয়ের জন্য পেশাদার হলে আরও একটু ভালো হয়।’

বিভিন্ন সময় টেস্ট হারের পর উইকেটে নিয়ে কথা ওঠে। ক্রিকেটাররাও প্রায়ই উইকেটের দোহাই দিয়ে নিজেদের বাঁচাতে চান। মুমিনুল অবশ্য উইকেটকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না। ম্যাচ হারলেই কন্ডিশন নিয়ে কথা হয়, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে খেলোয়াদের অ্যাপ্রোচ কেমন হওয়া উচিত, এমন প্রশ্নে বাঁহাতি ব্যাটার বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই পেশাদার। শৃঙ্খলা, ভালো মতো অনুশীলন, নির্দিষ্ট অনুশীলন, প্রতিপক্ষ চিন্তা করে কীভাবে শক্তি-দুর্বলতা অনুযায়ী অনুশীলন করা যায়, এসব মিলেই কিন্তু পেশাদারিত্বের ব্যাপারটা। আমার কাছে মনে হয় আপনি যেটা বোঝাতে চেয়েছেন, সেটা নয়। সবাই পেশাদারিত্ব দেখাচ্ছে, হয়তো কেউ সফল হচ্ছে, কেউ হচ্ছে না।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2