ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন : সুজন
ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন : সুজন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৯ জুন,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৪৪ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
এবার দল ও কোচ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন বিসিবির পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। জানিয়েছেন, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান হলেও, তিনি জানেন না কোচ নিয়োগের বিষয়ে। এমনকি কোন ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তার মতামত নেয়া হয় না বলেও জানান সুজন।
সোমবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা জানান তিনি। গত শনিবার স্পিন বোলিং পরামর্শক হিসেবে রঙ্গনা হেরাথ ও ব্যাটিং কোচ হিসেবে অ্যাশওয়েল প্রিন্সকে নিয়োগ দেয় বিসিবি। সুজন বলেন, আমি তো অপারেশনের ভাইস চেয়ারম্যান। কিন্তু আমি আপনাদের পরে জানি যে দুইজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
হয়তোবা আমি বায়োবাবলে ছিলাম কিন্তু আমার কাছে তো ফোন ছিল। পরে জানলাম অ্যাশওয়েল প্রিন্স এবং হেরাথকে নিয়োগ দিয়েছে। হেরাথের কথা আমিই বলেছিলাম। সে হয়তো গুড চয়েস। কিন্তু আমি একদমই জানতাম না। কোচ কি? ওরা তো বেশিদিন হয়নি ক্রিকেট ছেড়েছে। পরে দেখলাম যে অ্যাশওয়েল কে কেবল একটা সিরিজের জন্য নেয়া হয়েছে, হেরাথকে মনে একটু বেশি সময়ের জন্য নেয়া হয়েছে। যাই হোক, দেখা যাক ওরা কেমন করে
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। দুই সাবেক ক্রিকেটারের মধ্যে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সেটি পরিষ্কার। সুজন অবশ্য পরিষ্কার করেন নি কেন বা কি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যান পদে এখনো তিনি বহাল আছেন কিনা, সেটিও নাকি জানা নেই তার!
সুজন বলেন, আমি এখনো ভাইস চেয়ারম্যান আছি কিনা অপারেশনের সেটাও আমি জানিনা। আমি কোন মিটিংয়ে এ্যাটেন্ড করি না, আমাকে সেভাবে ডাকাও হয়না। মাঝে ২ বছর ইমেলই পাইনি, এখন তো মাঝেমাঝে পাই তাও। মেইলের মাধ্যমেই আমি জেনেছি দুইজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আগে অনেক ইনভলভ থাকতাম। কিন্তু এখন আমি আসলে অপারেশনের সাথে অতটা ইনভলব না।
তিনি আরো বলেন, আমি জানিনা কেন আমাকে রাখা হয়না। আমি চেষ্টা করি যতটুকু লাগে হেল্প করার। আমার নিজেরও দায়িত্ব আছে, সে বিষয়ে আমি সচেতন অনেক। ডেভেলপমেন্ট এর দায়িত্ব আছে। বিকেএসপিতে আমার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ট্রেনিং চলছে। বিদেশি কোচ এসেছে। সেসব নিয়ে আমি বিজি ছিলাম।
দেশি কোচদের বিষয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। জাতীয় দলের সঙ্গে তাদেরকে সংযুক্ত করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন বলেন, লোকাল কোচদের এখনো আসলে সময় হয়নি। তারা ওভাবে রেডি হয়নি ন্যাশনাল টিমের দায়িত্ব নিতে। তবে অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ হিসেবে তো নেয়া যায়। বোলিং কোচের অ্যাসিস্ট হিসেবে নিলেও তো হয়। একজন ওটিস গিবসনের সঙ্গে থাকলে সে কিছু জিনিস শিখতে পারে। পরবর্তীতে সে অন্যদের সঙ্গে সেটি শেয়ার করতে পারে।
জাতীয় দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর সঙ্গেও বেশ দূরত্ব তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দলের ম্যানেজারের ভূমিকা পালন করা খালেদ মাহমুদ সুজনের।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, চান্ডিকার সাথে আমার ভালো রিলেশান ছিল, একজন আরেকজনকে ভালো বুঝতাম। দল নিয়ে আমরা দু’জন অনেক পরামর্শ করতাম। ডোমিঙ্গো এখনো হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি। চান্ডিকার সাথে আমার আলাপ হতো, আমার কিছু বলার থাকলে বলতাম। ডোমিঙ্গোর সাথে এখনো হয়নি। আমি আসলে ন্যাশনাল টিম নিয়ে সেভাবে মাথা ঘামাতে চাই না। এটা ওর টিম। ও সবকিছু করবে। কোন পরামর্শ থাকলে আমি দিই। দলের কোন সিদ্ধান্তে আমি সেভাবে হাত দিতে চাইনা। আমি হয়তো পরামর্শ দিতে পারি। কোচ যেটা ভালো মনে করে সেটাই করবে। সে তার টিমটাকে কিভাবে গোছাবে, কিভাবে প্র্যাকটিস করাবে সেসব তার ব্যাপার।
জাতীয় দলের প্রায় সব সিরিজেই সুজনকে দেখা গেলেও, আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরে দলের সঙ্গে যাচ্ছেন না তিনি। পারিবারিক কারণ দেখিয়ে এই সিরিজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। তবে মূল কারণটা যে তা নয়, সেটি পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে।