avertisements 2

উড়ছেন রোহিত ছুটছে ভারত

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ অক্টোবর,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:৫৯ এএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪

Text

ঘরের মাটিতে স্বপ্নের বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো হয়নি রোহিত শর্মার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। সেই ম্যাচে অবশ্য দল ঠিকই জয় তুলে নিয়েছিল। এর পরের দুই ম্যাচেই দেখা গেছে রোহিত শো। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ইতিহাসে ভারতের জার্সিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়ার পর শনিবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে খেললেন দলীয় সর্বোচ্চ ৮৬ রানের ঝড়ো এক ইনিংস। তাতেই পাকিস্তানকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে টানা তিন জয় তুলে নেয় রোহিত শর্মার দল। সেই সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলেও রানরেটে এগিয়ে থেকে নিউজিল্যান্ডকে দুইয়ে ঠেলে টেবিলের শীর্ষে উঠে যায় দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম ভারত-পাকিস্তান। এই দুই দলের দ্বৈরথ মানেই ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ। কিন্তু বিশ্বকাপে এশিয়ার দুই জায়ান্টের লড়াইটা একেবারেই একপেশে! অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য যে, এই ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেই ভারত ৭-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। আর শনিবার সেই ব্যবধানটা নিয়ে গেল ৮-০তে।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ১৯২ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রোহিত ৬৩ বলে সমান ছয়টি বাউন্ডারি আর ছয়টি ওভার বাউন্ডারির সহায়তায় ৮৬ রান সংগ্রহ করেন। তার এমন ইনিংসের সৌজন্যেই ব্যাটিংয়ে ভর করে ১১৭ বল বাকি থাকতে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিক শিবির। অথচ পাকিস্তান এক পর্যায়ে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৫ রান সংগ্রহ করে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকেই ১৯১ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। আর শেষ ৩৬ রানে প্রতিপক্ষের মূল্যবান ৮ উইকেট তুলে নেওয়ার পেছনে বোলারদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন রোহিত শর্মা। তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে ভারতীয় দলপতি বলেন, ‘আরও একবার বোলাররাই আমাদের জয়ে ভিত গড়ে দিয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নাই। এটা সত্যিই দারুণ প্রচেষ্টা। আমি মনে করি না এটা ১৯০ রানের উইকেট। এক পর্যায়ে আমরা মনে করেছিলাম পাকিস্তান ২৭০-২৮০ রান তুলতে পারবে। কিন্তু বোলাররা ফিরে এসে নিজেদের দৃঢ়তার প্রমাণ দিয়েছে। বোলারদের প্রশংসা করতেই হয়।’ পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের সফল বোলার জাসপ্রিত বুমরাহ। ৭ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রানেই প্রতিপক্ষের দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। যার মধ্যে ছিল ইনফর্ম মোহাম্মদ রিজওয়ান আর শাদাব খানের উইকেট। তারই পুরস্কারস্বরূপ ম্যাচসেরার ট্রফি জেতেন বুমরাহ। বুমরাহ ছাড়াও মোহাম্মদ সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদ্বীপ যাদব এবং রবিন্দ্র জাদেজা প্রত্যেকেই সমান দুটি করে উইকেট দখল করেন। সবার এমন সমন্বিত প্রচেষ্টার জয়ে তাই দারুণ খুশি রোহিত শর্মা। তিনি বলেন, ‘বল হাতে সবাই তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেছে। বোলারদের নিয়ে আমরা দারুণ গৌরবান্বিত। এটা যে কারও দিন হতে পারত।

যে কোনো দিনই প্রত্যেকের জন্য একেকটি নতুন দিন। অধিনায়ক হিসেবে কন্ডিশন ভালোভাবে বোঝাটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটারদের সমস্যায় ফেলতে পারে, এমন বোলারদের আমার খুঁজে নিতে হবে। এখন পর্যন্ত প্রত্যেকেই ভালো খেলছে। আমাদের অবশ্য খুব বেশি স্বস্তিতে থাকলে চলবে না। দলের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।’ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ শুরু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। ভারতের কাছে হেরে সেই যে পাকিস্তান শুরু করেছিল শনিবার অষ্টম ম্যাচেও বদলাল না তাদের ভাগ্য। আরেকটি জয়ের পর রোহিত বলেন, ‘আমি একটি কথা অনেকবারই বলেছি। এই ধরনের শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গে আমরা সব সময়ই খেলতে চাই। এই টুর্নামেন্টে প্রতিটি দলই মানসম্পন্ন। যে কোনো দিন তাদের কাছে আমরাও পরাজিত হতে পারি।’ ম্যাচের শেষে পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার শোয়েব আখতার প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রোহিত শর্মাকে। তিনি বলেন, ‘রোহিত শর্মা যে ইনিংসটা খেলেছে, আসলে ও পাকিস্তানকে অপমান করেছে। গত দুই-তিন বছর ওকে যেভাবে আউট করা হয়েছে, রোহিত তার প্রতিশোধ নিয়েছে।’ বাদ যাননি পাক অধিনায়ক বাবর আজমও। রোহিতকে প্রশংসায় ভাসিয়ে তিনি বলেন, ‘রোহিত যেভাবে খেলেছে, অসাধারণ একটা ইনিংস। আমরা উইকেট নিতে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2