সাতক্ষীরার মাঠ কাঁপানো সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিঠুর করুণ দশা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৫ এএম, ১৪ অক্টোবর,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ০৫:৩৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের এক সময়ের দাপুটে নেতা শেখ মারুফ হাসান মিঠু এখন ধুকে ধুকে মৃত্যুর পথযাত্রী। স্ট্রোক করে শরীরের ডান পাশ প্যারালাইজ হয়ে গেছেন তার। এতে করে দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সাবেক এই নেতার চিকিৎসার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। মঙ্গলবার চিকিৎসার জন্য একটি সহায়তার চেকও তুলে দেন তিনি।
শেখ মারুফ হাসান মিঠু সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর ঝিলপাড়া এলাকার মৃত শেখ রেদওয়ান আলীর ছেলে। ১৯৯২ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ততৃীয় মেয়াদে টানা ১০ বছর সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মিঠু। বর্তমানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা পলাশ জানান, মারুফ হাসান মিঠু ভাই টানা তিনবারের জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
সাতক্ষীরার ছাত্রলীগের দুর্দিনে রাজপথে ভূমিকা রেখেছেন। এখন অসুস্থ হয়ে বাড়িতে। তার সুচিকিৎসার জন্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক স্যার আশ্বস্ত করেছেন। সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। ত্যাগী ও পরীক্ষিত এই ছাত্র নেতার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অসুস্থ হয়ে বাড়িতে থাকা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শেখ মারুফ হাসান মিঠু জানান, নেতাকর্মীরা খোঁজখবর রাখেন। দুই বছর আগে স্ট্রোক করার পর শরীরের ডান পাশ অবস হয়ে পড়ে। এরপর ঢাকা ও ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করেছি। তারপর করোনার শুরু হওয়ার পর আর চিকিৎসার জন্য কোথাও যেতে পারিনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন দিয়েছি। আশা করছি, আমাদের নেত্রী আমার দিকে তাকাবেন।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু বলেন, ত্যাগী ছাত্র নেতা মিঠু। ১৯৯৬ সালের জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে মিঠু ভাই সভাপতি ছিলেন, আমি সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। নেতাকর্মী নিয়ে রাজপথ কাঁপিয়েছি একসঙ্গে। এরপর তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ হওয়ার পর তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর রাখাসহ সার্বিক সহযোগিতা করছি।
সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জাগো নিউজকে বলেন, শেখ মারুফ হাসান মিঠুর বাড়িতে গিয়েও খোঁজখবর নিয়েছি। সাবেক এই ছাত্রনেতার সুচিকিৎসার জন্য রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে সহায়তা করা হয়েছে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও সহযোগিতার জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সহযোগিতা পাওয়া গেলে ভারতে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক বলেন, মিঠুকে ঢাকায় আসার জন্য বলেছি অনেক আগেই। সাতক্ষীরায় থাকলে সুস্থ হতে পারবে না। চিকিৎসার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবো। সে এখনও ঢাকায় আসেনি। আমি মনে করি সুচিকিৎসা পেলে তার সুস্থ হওয়া সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর কাছে মিঠুর সহযোগিতার জন্য একটি আবেদনও দেয়া হয়েছে।