avertisements 2

কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত এ্যালকোহল পানে জেলা ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনের মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ এপ্রিল,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:০৩ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের মেধাবী ছাত্র সিফাতুল আলম সিপুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোররাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন এবং দুপুরের দিকে আরো একজন মারা যান। এছাড়া অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো দুইজন।

মৃতরা হলেন, কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও ভেড়ামারা উপজেলার রকিবুল আলমের ছেলে সিফাতুল আলম সিপু (২৭), কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বড় আইলচারা এলাকার মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে শাহিন (৪৭), মিরপুর উপজেলার মশান বারুই পাড়া গ্রামের মৃত হনিফের ছেলে মো: রতন (২১), একই এলাকার খলিলের ছেলে সবুজ (২৪)।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার তাপস কুমার জানান, রোববার রাতে বিষাক্ত তরল দ্রব্য পান করে গুরুতর আশংকাজনক অবস্থায় একে একে আটজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের পাকস্থলী ওয়াসসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়। এদের মধ্যে সোমবার ভোররাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজন এবং দুপুরের দিকে আরো একজনের মৃত্যু হয়। এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো দুইজন।

এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সিফাতুল আলম সিপুর লাশ নিয়ে যেতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ নিয়ে পুলিশের সাথে বাকবিতণ্ডয় জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সিফাতুল আলম সিপুর লাশ নিয়ে যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ জানায়, সিফাতুল আলম সিপু জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন। সে খুব মেধাবী স্টুডেন্ট ছিল। রাতে খাবার খেয়ে হঠাৎ স্টোক করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিপু ভোর রাতে মারা যায়। তার মৃত্যুকে ঘিরে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন এই ছাত্রলীগ নেতা।

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন জানান, রোববার রাতে বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করে অসুস্থ হয়ে বেশ কয়েকজন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরবর্তীতে চারজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে রতন ও শাহীনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই সিফাতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিফাত কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে শিক্ষার্থী হওয়ায় বাদ জোহর জিলা স্কুল ঈদগাহে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ স্কুলে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে এখনো আটক করা যায়নি। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2