পাইকগাছায় ইউপি চেয়ারম্যানের নগ্ন ভিডিও ভাইরাল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ এপ্রিল,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৪২ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের নগ্ন ভিডিও ফাঁস হওয়ায় সর্বস্তরে সমালোচনার ঝড় বইছে। এক সপ্তাহ ধরে বিষয়টি এলাকাবাসীর মুখে মুখে। সম্প্রতি এই চেয়ারম্যানের ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডের নগ্ন ভিডিও ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে কাজল কান্তি বিশ্বাসকে একজন তরুণীর সাথে নগ্নাবস্থায় ভিডিওকলে অশ্লীল কর্মকান্ড করতে দেখা যায়। ফলে ভিডিওটি ফেসবুকসহ নেট দুনিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
লতা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য স্বপন কুমার মন্ডল জানান, এমন একটি ঘটনা আমাদের কখনোই বোধগম্য ছিল না। একজন চেয়ারম্যানের মতো দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি কিভাবে একজন কিশোরীর সাথে এমন আপত্তিকর কর্মকাণ্ড করে। বিষয়টি আমাদের সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজন বলেন, আমার ছেলে স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এসকল ভিডিও ফেসবুকে ছড়ালে উঠতি বয়সী তরুণদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। অভিযুক্ত কাজল কান্তি বিশ্বাস এবারসহ দুইবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন। লতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মঙ্গল চন্দ্র মন্ডল বলেন, এ বিষয়টি বর্তমানে খুব পীড়াদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুল সমালোচিত নারী ঘটিত অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও ফাঁস হওয়ায় পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের অপসারণসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অর্ধশত ব্যক্তির গণস্বাক্ষরিত অভিযোগটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়। উল্লেখ্য, কয়েকদিন পূর্বে লতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস ও এক যুবতীর মধ্যে অনৈতিক ভিডিও ফাঁস হলে গোটা এলাকায় তোড়পাড় সৃষ্টি হয়। এ ভিডিওটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়া সমালোচনা ও পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
সর্বশেষ ইপি চেয়ারম্যানের অপসারণ ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগমের কাছে অভিযোগ হয়েছে। লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ইউসুপ আলী বলেন, লতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পেয়েছি। পাশাপাশি মঙ্গলবারের অভিযোগটিও আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।