মুসলিমদের জোরপূর্বক উলঙ্গ করছে চীন, খাওয়াচ্ছে 'অজ্ঞাত' ওষুধ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ১১:৪১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
করোনার প্রকোপের মধ্যে চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে বন্দিশালায় উইঘুর মুসলিমদের 'অজ্ঞাত' ওষুধ খাওয়াচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সেইসঙ্গে মুসলিমদের জোরপূর্বক উলঙ্গ করে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
বন্দিশালায় আটককৃতদের অভিযোগ, প্রতি সপ্তাহে তাদের শরীরে এমন জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়, তাতে মনে হয় তাদের চামড়া 'খসে যাবে'। সেইসঙ্গে তাদের জোর করে অজ্ঞাত ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে।
সোমবার বার্তা সংস্থা এপি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা হিসেবে শিনজিয়াংয়ের কিছু বাসিন্দাদেরও জোরপূর্বক চীনের 'ট্র্যাডিশনাল' ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। যদিও এসব ওষুধ বৈজ্ঞানিকভাবে অসুস্থতার বিরুদ্ধে কার্যকর হিসাবে প্রমাণিত হয়নি।
বন্দিশালায় আটক এক নারী এপি'কে বলেন, ডজন খানেক উইঘুরদের সঙ্গে তাকে একটি সেলে স্থানান্তর করা হয়, সেখানে প্রতি সপ্তাহে গার্ডরা যখন জীবনুনাশক স্প্রে করে তখন তাদের উলঙ্গ হতে হয়।
শিনজিয়াংয়ে করোনার ৮০০ এর বেশি রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ৪৫ দিনের লকডাউন চলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের যেকোন অঞ্চলের তুলনায় এই অঞ্চলে লকডাউনে কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। অনেক বাসিন্দাদের জোর করে 'ট্র্যাডিশনাল' পানীয় ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে, অন্যদের ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখা হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইনে রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে ৪০ দিনের বেশি দিন।
খবরে আরো বলা হয়েছে, শিনজিয়াংয়ে সাদা বোতলে করে যেসব ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে, তা কী থেকে তৈরি জানা যায়নি।
উইঘুর মুসলিমদের ওপর এমন আচরণ ছাড়াও দেশটির সংখ্যালঘুর 'হান' বাসিন্দাদের ওপরও চলছে চীন সরকারের এমন কার্যকলাপ।
একজন হান নারী গত ১৮ আগস্ট অনলাইনে পোস্ট করে বলেন, আমরা অসুস্থ না হওয়ার পরও কেন আমাদের জোরপূর্বক ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে?
এছাড়া আরেক হান ব্যবসায়ী এপি'কে বলেন, করোনা ভাইরাসের পাঁচবার নেগেটিভ ফলাফলা আসা সত্ত্বেও তিনি মধ্য জুলাইয়ের পর থেকে কোয়ারেন্টাইনে। তিনি আরো জানান, কর্তৃপক্ষ বাইরে লোকদের বেশি চলাফেরা করতে দিচ্ছে না।