avertisements 2

হামাসের রকেটে খরচ কতো?

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ মে,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৩৮ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসনের পক্ষে দেশটির সেনাবাহিনী সাফাই দিয়ে আসছে, অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও অন্য সশস্ত্র সংগঠনগুলোর ছোড়া রকেট হামলার জবাবেই তারা এই অভিযান চালাচ্ছে।

পুরো সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে শীর্ষ আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে 'হামাসের রকেট।'

হামাসের রকেট হামলা থেকে পুরো ইসরাইল ভূখণ্ডকে প্রতিরক্ষায় বিপুল অর্থ ব্যয়ে মোতায়েন করেছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা 'আয়রন ডোম।' যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে আয়রন ডোমের এক ইউনিট প্রস্তুত করতেই খরচ হয় পাঁচ কোটি ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় চার শ' ২৩ কোটি টাকার বেশি)।

এত বিশাল পরিমাণ অর্থে আকাশ প্রতিরক্ষার এই ব্যবস্থা করা হলেও অনেক সময়ই একসাথে বিপুল রকেট হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ আয়রন ডোম।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, গত এক সপ্তাহে গাজা থেকে প্রায় তিন হাজার রকেট ইসরাইলি ভূখণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়েছে। আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বেশিরভাগ রকেট আটকানো হলেও বেশ কিছু রকেট ইসরাইলের প্রধান শহর তেলআবিবসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানে। রকেট হামলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যুসহ অবকাঠামোগত ক্ষতির বিষয়ে খবর জানায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ও সংবাদমাধ্যম।

তবে হামাসের হাতে থাকা বেশিরভাগ রকেটই স্বল্প পাল্লার বলে মন্তব্য করেন ইসরাইলি বিশেষজ্ঞ উজি রুবিন ও তাল ইনবার।

উজি রুবিন বলেন, হামাসের সর্বোত্তম রকেট খুবই সাধারণ উপকরণে, স্বল্প খরচে তৈরি। এগুলোর আওতা খুব দীর্ঘ নয়।

সংবাদমাধ্যমের ভাষ্য অনুসারে হামাসের স্বল্প পাল্লার একটি কাসসাম রকেট তৈরিতে তিন শ' থেকে আট শ' ডলার খরচ হয়। বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমান ২৫ হাজার থেকে ৬৭ হাজার টাকা।

তবে হামাসের হাতে থাকা দীর্ঘ পাল্লার আর-১৬০, এম-৩০২ডি, এম৩০২-বি, এম-৭৫, ফজর ৩, ফজর ৫ ও দ্বিতীয় প্রজন্মের এম-৭৫ রকেটের খরচ সম্পর্কে প্রকাশ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায় না।

তাল ইনবার বলেন, এই রকেটগুলো তৈরিতে স্বল্প পাল্লার খরচের চেয়ে দুই বা তিন গুন অল্প কয়েক হাজার ডলার খরচ হতে পারে।

এর বিপরীতে আয়রন ডোমে ব্যবহৃত একেকটি রকেট তৈরিতে খরচ হয় ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ডলার (বাংলাদেশী ৪২ লাখ থেকে ৮৪ লাখ টাকা)।

তবে দীর্ঘ পাল্লার রকেট তৈরিতে খরচের জন্য হামাসের কোনো তহবিল নেই বলে মন্তব্য করেন রুবিন ও ইনবার। ইরানি সহায়তাতেই হামাস এই রকেটগুলো হাতে পেয়েছে বলে জানান তারা।

তেল আবিব বা জেরুসালেমে আঘাত হানার মতো কী পরিমাণ রকেট হামাসের হাতে রয়েছে তা নিয়ে নিশ্চিত কিছু জানাননি তারা।

তারা বলেন, ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা তার সর্বোত্তম গোয়েন্দা তৎপরতা সত্ত্বেও এর সঠিক কোনো তথ্য জানাতে পারেনি।

রুবিন বলেন, গাজা থেকে দূরবর্তী ইসরাইলি এলিয়াত শহরে রকেট নিক্ষেপের আগ পর্যন্ত ইসরাইলের সামরিক বাহিনী হামাসের হাতে এই ধরনের রকেট থাকার কথা জানতো না।

সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2