সিরিয়ার বিদ্রোহীরা কী বিশ্বাসযোগ্য?
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪ | আপডেট: ০২:০৩ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
ছবি: এএফপি
বাশার আল-আসাদের পতনের পর গত সপ্তাহে রাজধানী দামেস্কে যান সিরিয়ার বিদ্রোহী নেতা আবু মুহাম্মদ আল জুলানি। তাঁর নিয়ন্ত্রিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের অবসান ঘটায়। দামেস্কে গিয়ে তিনি এক তরুণীর সঙ্গে ছবি তোলেন। যেটি নিয়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনা।
প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, বিদ্রোহীরা ইসলামের কঠোর পন্থা থেকে সরে যাওয়ার যে দাবি করছে, সেটি বিশ্বাস করা যায় কিনা।
ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জুলানির কাছে এক তরুণী ছবি তোলার আবদার করছেন। তখন হাতের ইশারায় তরুণীকে মাথার চুল ঢেকে নিতে বলেন। এর পর তিনি ছবি তোলেন।
পশ্চিমা ও মুক্তমনারা বলছেন, জুলানির এই কর্মকাণ্ড ইঙ্গিত দিচ্ছে, তিনি পূর্ণ ক্ষমতা কায়েমের পর সিরিয়ায় সব নারীর মাথা ঢাকা বাধ্যতামূলক করতে পারেন। যদিও তিনি এখন বলছেন, কঠোর পন্থা অবলম্বন করবেন না। কিন্তু তাঁর মত বদলে যেতে পারে।
অন্যদিকে, তরুণীর সঙ্গে ছবি তোলায় নিজ সমর্থক ও ধর্মীয় নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন জুলানি। তারা বলছেন, ওই তরুণীর সঙ্গে তাঁর ছবি তোলার কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। কারণ, সে মাথায় কাপড় দেয়নি। সঙ্গে মুখে মেকআপ করা ছিল।
তবে এসব আলোচনা-সমালোচনা উড়িয়ে দিয়েছেন সুন্নি ইসলামপন্থি এই বিদ্রোহী নেতা। তিনি বলেছেন, ‘আমি তাকে চুল ঢাকতে বাধ্য করিনি। কিন্তু এটি আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। আমি এমনভাবে আমার ছবি তুলতে চাইব, যেটির সঙ্গে আমাকে মানায়।’
অন্যদিকে, লিয়া খাইরুল্লাহ নামের ওই তরুণী বলেছেন, ‘তিনি খুবই ভদ্র এবং পিতৃসুলভ ভঙ্গিতে আমাকে চুল ঢাকতে বলেছেন। ছবিতে নিজেকে নিজের ইচ্ছামতো উপস্থাপনের অধিকার এই নেতার আছে।’
সিরিয়ার বেশির ভাগ বাসিন্দা সুন্নি মুসলিম। শিয়া মুসলিম ছাড়াও খ্রিষ্টান, আলাউইত, দ্রুজ এবং ইসমাইলি সম্প্রদায়ের বাস রয়েছে এখানে। দেশটির অনেক মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র এবং অনেকে ইসলামী শরিয়াহ্ আইন অনুযায়ী শাসন পরিচালনা চান। খবর বিবিসির।