যুদ্ধ আলাদা করে দিল নবদম্পতিকে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:৩৮ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
গাজা ও মিসরের সীমান্তে স্থাপিত রাফাহ ক্রসিং দিয়ে পার হচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি: আল-জাজিরা
ফিলিস্তিনি যুবকের সঙ্গে ক’দিন আগেই বিয়ে হয়েছিল জর্ডানের এক তরুণীর। চলে আসেন স্বামীর বাড়িতে। কিন্তু এরপরই শুরু হয় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ। এতে প্রাণে বাঁচাই দায় হয়ে পড়ে গাজায়। ইসরায়েলের বর্বর হামলা থেকে বাঁচতে এই নবদম্পতিকে আলাদা হতে হলো। গাজা ও মিসরের সীমান্তে স্থাপিত রাফাহ ক্রসিং দিয়ে স্ত্রীকে ফিরে যেতে হয়েছে নিজ দেশে। তবে শুধু ফিলিস্তিনি নাগরিক হওয়ায় যাওয়ার অনুমতি পাননি স্বামী। এ সময় সীমান্তে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় দু’জনের মধ্যে।
ইসরায়েলি বর্বর হামলার প্রায় এক মাস পর গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো বেসামরিক ব্যক্তিদের জন্য খোলা হয় রাফাহ ক্রসিং। বিদায়ের আগের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে আলজাজিরা। এতে দেখা গেছে, রাফাহ সীমান্তে আলাদা হয়ে যাওয়ার সময় এই নবদম্পতি কাঁদতে কাঁদতে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বিদায় নিচ্ছেন। তবে স্বামীকে দেখা গেছে, তিনি স্ত্রীকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এরপর এক সাক্ষাৎকারে ওই যুবক জানান, তিনি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে রাফাহ সীমান্তে গিয়েছিলেন। স্ত্রী যেন নিরাপদে সীমান্ত পার হতে পারেন, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন। ফিলিস্তিনি এই নাগরিক আক্ষেপ করে বলেন, আমার একমাত্র অপরাধ, আমি ফিলিস্তিনি।
গতকাল প্রথমবারের মতো চার শতাধিক ব্যক্তি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ত্যাগ করেন। ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩৩৫ জন বিদেশি পাসপোর্টধারী রয়েছেন। এদিন ৭৬ জন আহত ফিলিস্তিনিও রাফাহ ক্রসিং পার হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে গেছেন।