বিচারকদের জামিন দেয়ার একচ্ছত্র অধিকার নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২৫ | আপডেট: ১০:০২ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারী,রবিবার,২০২৫

বিচারকদের উদ্দেশ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেছেন, জামিন দেওয়ার একচ্ছত্র অধিকার আপনাদের নেই। ৫ আগস্টের আগের তত্ত্বে বিচার কার্যক্রম চালানো যাবে না। নতুন বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
শনিবার যশোরে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। যশোর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে যশোর পিটিআই মিলনায়তনে দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার, সিআইডির অতিরিক্ত আইজি মতিউর রহমান শেখ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান খান।
অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিচারকরা জামিনের জন্য সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী নন। তাদেরকে মামলার নথির ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে সেই নথির কথায় শেষ নয়। এই ক্ষেত্রে পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিতে হবে। নতুন করে জুরিস ফুটেজ তৈরি করতে হবে। মনে রাখতে হবে কোনোক্রমেই যেন জুলাই বিপ্লবের বিরোধিতাকারী কোনো আসামি আইনের ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে যেতে না পারে।’
তিনি বলেন, ‘বার ও বেঞ্চ এক হয়ে ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে এক হয়ে কাজ করতে হবে। ৩৬ জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারীরা যেন কোনোভাবেই আইনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে বিচারের হাত থেকে রেহাই না পায়, জামিন না পায়-সে ব্যাপারে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। বিগত সরকার দেশে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছিল সেই জায়গা থেকে জাতিকে বের করে আনতে হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল স্পিরিটকে ধারণ করতে হবে।’
কর্মশালায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ও ১৬ জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার, জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র জুডিশিয়াল ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পাবলিক প্রসিকিউটর, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ৩২০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।