বাণিজ্যের আড়ালে ৪শ কোটি টাকা পাচার করেন শাকিল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ অক্টোবর,সোমবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:৫৪ এএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
শেয়ারবাজারে কারসাজির অভিযোগে অভিযুক্ত সালমান এফ রহমানের সহযোগী পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী শাকিল হোসেনের বিরুদ্ধে ৪০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, বন্ড সুবিধার আড়ালে কাঁচামাল আমদানি করে ও শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে তিনি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।
প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, অন্তত ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের প্রমাণ মিলেছে। বন্ড লাইসেন্সের বিপরীতে কাগুজে প্রতিষ্ঠান কেরানীগঞ্জের স্মার্ট লাইফ ফুটওয়ার ইন্ডাস্ট্রিজ, বাবর সু-ইন্ডাস্ট্রিজ, এম আলী ট্রেডিং, ঢাকার ইসলামবাগের শহীদবাগ শাকিল পিভিসি পলিমার অ্যান্ড রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ ও লালবাগের এটুজেড ট্রেডিং হাউজের নামে কোনো কাগজ যাচাই ছাড়াই পূর্বালী ব্যাংক, এবি ব্যাংক ও ডাচবাংলা ব্যাংকে এলসি খোলা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর তদন্তে শাকিলের অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, যার মধ্যে ভুয়া এলসি খুলে ব্যাংক থেকে ঋণের নামে লুটপাটের অভিযোগও অন্তর্ভুক্ত। কিছু দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তাদের সহযোগিতা এবং আলোচিত ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের সহযোগী হওয়ায় এতদিন আড়ালে ছিল তার অপকর্ম। এখন সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে থলের বিড়াল বের হয়ে আসছে।
শাকিলের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, এর মধ্যে স্মার্ট লাইফ ফুটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ, বাবর স্যু ইন্ডাস্ট্রিজ, শাকিল পিভিসি পলিমার অ্যান্ড রাবার, এ টু জেড ট্রেডিং হাউজ ও এম আলী ট্রেডিং উল্লেখযোগ্য। সূত্র: ঢাকা পোস্ট
নিবন্ধনকৃত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শুল্ক সুবিধায় বিপুল পরিমাণ কাঁচামাল আমদানি করে সেগুলো খোলাবাজারে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে রাষ্ট্রকে বিপুল পরিমাণ শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের গোয়েন্দা প্রতিবেদন অনুযায়ী, শাকিলের প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কাঁচামাল আমদানি করা হলেও সেগুলো দিয়ে কোনো পণ্য উৎপাদন করা হয়নি। তিনি সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিয়ে এই কাজগুলো করছিলেন।
অভিযোগ উঠেছে যে, শাকিল নিয়ম ভেঙে বিভিন্ন ব্যাংকে এলসি খুলে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন। এনবিআরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের কাছে শাকিলের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে।
শাকিল হোসেনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন তিনি যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত নম্বরে প্রতিবারই অব্যবহৃত থাকায় কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।