মেলবোর্নের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ মে,শনিবার,২০২০ | আপডেট: ০২:১৭ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারি শুরুর পর শনিবার দ্বিতীয় বিশেষ ফ্লাইটে ২২০ জন অস্ট্রেলীয় নাগরিক অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। ঢাকায় অস্ট্রেলীয় হাইকমিশন জানায়, তারা তিন সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যেতে সহায়তা করেছে। শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমান শনিবার ২২০ জন অস্ট্রেলিয়ান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। ফ্লাইটটিতে আট জন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া ২৮৫ জনসহ এই নিয়ে পাঁচশ’রও বেশি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিককে দেশে ফিরে যেতে সাহায্য করলো অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন। অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন এবং বিদায়ী যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করেন। পুরো প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিমানবন্দরে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার বলেন, ‘কভিড-১৯ এর কারণে বেশিরভাগ যাত্রীবাহী ফ্লাইটের চলাচল এখনো বাংলাদেশ থেকে যাওয়া এবং আসা স্থগিত আছে। মহামারি মোকাবেলায়, আমাদের বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমরা নিরলস চেষ্টা করে চলেছি যাতে অস্ট্রেলীয়রা দেশে ফিরতে পারেন।’ অস্ট্রেলীয়দের বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছাতে সহায়তার জন্য হাইকমিশনার শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স ও বাংলাদেশ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।
অস্ট্রেলীয় হাইকমিশন জানায়, হাইকমিশন কর্মকর্তারা দ্বিতীয় ফ্লাইটটির জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করেছে। কভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া সরকার প্রায় ১৫ হাজার অস্ট্রেলীয় নাগরিককে জাহাজ ও বাণিজ্যিক বিমান সংস্থাগুলোর মাধ্যমে দেশে ফিরে যেতে সাহায্য করেছে।
প্রসঙ্গত অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেন ও পাঃ রেসিডেন্টেদের নিয়ে শ্রীলংকান এয়ারলাইন্সের প্রথম বিশেষ ফ্লাইট গত ১৭ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ২: ২০ মেলবোর্ন পৌছে। করোনার কারনে বাংলাদেশ বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন কয়েক শতাধিক অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশী ও পাঃ রেসিডেন্ট। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার আগ্রহ জানাচ্ছিল। অন্যদিকে পারিপার্শ্বিক পরিস্হতি বিবেচনা করে ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনে কার্যক্রম সীমিত করা হয়েছিল।
ফলে আটকেপড়ারা মহা অনিশ্চয়তায় দিনপাত করছিলেন। এই অবস্হায় মাল্টিকালচারাল সোসাইটি অব ক্যাম্বেলটাউনে ইনকের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি এনাম হক, সিনিয়র সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, জেনারেল সেক্রেটারী মো: সফিকুল আলম স্ব-উদ্যোগে অভিবাসন, নাগরিকত্ব, অভিবাসী সেবা ও বহুসংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় যোগাযোগ শুরু করেন। এই সময় তাদের কাছে আগ্রহীদের তালিকা চাওয়া হয়।
তালিকা করতে গত ১ এপ্রিল বাংলাকথায় "" বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশীদের ফেরত আনার উদ্যোগ, সহযোগিতা দেবে মাল্টিকালচারাল সোসাইটি অব ক্যাম্বেলটাউন ইনক"" এই সংক্রান্ত নিউজ প্রকাশ করে। এরপর কয়েক শতাধিক ইমেইলে ৭০৪ অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেন ও পাঃ রেসিডেন্ট অস্ট্রেলিয়া ফেরত আসার আগ্রহ প্রকাশ করে। মাল্টিকালচারাল সোসাইটি অব ক্যাম্বেলটাউন ইনকের স্বেচ্ছাসেবকরা প্রতিটা ইমেইল প্রেরনকারীকে ফিরতি ইমেল তাদের সহযোগিতার সর্বোচ্চ আশ্বাস দেয় এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে একটি তালিকা প্রস্তুত করে ।
এই তালিকা নিয়ে মাল্টিকালচারাল সোসাইটি অব ক্যাম্বেলটাউনে ইনকের , সিনিয়র সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সাথে দেখা করেন এবং আটকে পড়া অস্ট্রেলিয়ান সিটিজেন ও পাঃ রেসিডেন্টেদের অস্ট্রেলিয়া ফেরত আনার প্রক্রিয়া শুরুর অনুরোধ জানান। মন্ত্রী ব্যাপারটি নিয়ে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ২য় ফ্লাইটে ব্যবস্হা করা হয়।"