তাজা প্রাণী বিক্রির বাজার বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০৫:৫৩ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
যেসব খোলা বাজারে তাজা পশুপাখি বা প্রাণী বিক্রি করা হয়ে সেগুলোর ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে জি-২০ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। তারা বলছে, এসব বাজার ‘জৈবনিরাপত্তা এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’ তবে অস্ট্রেলিয়া এখনও এ ধরনের বাজার নিষিদ্ধ করার কথা বলেনি।
তবে তারা বলেছে, এ ধরনের বাজার, যেখানে তাজা মাছ মাংস বিক্রি করা হয় সেগুলো ক্রমান্বয়ে বন্ধ করে দেয়া উচিত। এ ধরনের কিছু কিছু বাজারে বন্যপ্রাণীও বিক্রি করা হয়। এবং অনুমান করা হয় যে, উহানে এ ধরনের একটি ‘বিশেষ চাহিদার’ প্রাণী বিক্রির বাজার থেকেই করোনা ভাইরাসের সূত্রপাত। উহানের ওই বাজারে শেয়াল, বিড়াল, কচ্ছপ এবং সাপসহ নানা ধরনের প্রাণী খাবার জন্য বিক্রি করা হতো।
করোনা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৭৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩২ জন। এরইমধ্যে চীনের বাইরে ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৯১ হাজার ৫৫ জন। শনাক্ত হয়েছেন ২৭ লাখ ২৫ হাজার ৩৯১ জন। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার।
এদিকে ভাইরাসে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮২০ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫১৬ জন। এদের মধ্যে ১৭ লাখ ২৯ হাজার ৮৩৮ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৮ হাজার ৬৭৮ জনের অবস্থা গুরুতর। ভাইরাসটির আক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের। সেখানে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৪৪২ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৫০ হাজার ২৩৬ জন।
মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার ৫৪৯ জনের মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৩ জন। মৃত্যুর হিসাবে ইতালির পরের অবস্থানেই রয়েছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যার দিক দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এ দেশটি। মোট আক্রান্ত ২ লাখ ১৩ হাজার ২৪ জন।
মৃত্যুর তালিকার চার নম্বরে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ৮৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৮ হাজার ১৮৩ জন। ফ্রান্সের পরের অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৮ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮ জন। এদিকে জার্মানিতে ১ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৫৭৫ জনের। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ হাজার ২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৪৮১ জন। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৮৬ জনের। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১২৭ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০৮ জন।