কয়েক দশক লাগবে অস্ট্রেলিয়ার দাবানলের ধ্বংসের চিহ্ন মুছতে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০৭:৫০ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
আগুনে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়ার একাধিক রাজ্য ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য গাছাপালা পুড়ে ছাই হচ্ছে শতশত কিলোমিটার বনভূমি। বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫০ কোটি প্রাণী মারা পড়েছে। অব্যাহত দাবানলে ক্যাঙ্গারুর মতো প্রাণী থেকে শুরু করে পাখি ও সরীসৃপ জীবন হারিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ধ্বংসের চিহ্ন মুছে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কয়েক দশকের বেশিও লাগতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত গ্রীষ্মকালে তাপদাহের কারণে দাবানল হয়।
স্থানীয়রা একে বলে থাকে বুশফায়ার। আগুনের এই লেলিহান শিখার মুখে অসহায় মানুষ। সরকারিভাবে বিমান থেকে বিশেষ তরল মিশ্রণ ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টাও করা হয়। তবে সে প্রচেষ্টা সবসময় সফল হয় না। তবে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া দাবানলে প্রচুর গাছ ও জীবজন্তুর প্রাণহানি ঘটেছে। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপ থেকে জানা যায় দাবানল অতিমাত্রায় ও অতিদ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন পশুপাখি প্রাণী মারা গেছে।
ম্যাককূরী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অ্যান্ড্র বিষয়টি সম্পর্কে বলেন, স্তন্যপায়ী, পাখি, সরীসৃপ ও উভয়চর প্রাণীর হিসাব করলে সংখ্যা শত কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। দাবানলে দেশের যে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়েছে তা পূরণে কয়েক দশক সময় লাগতে পারে।
ধারণকৃত চিত্র ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্যাঙ্গারুগুলো আগুন থেকে বাঁচার জন্য পালানোর চেষ্টা করছে। ক্যাঙ্গারু উদ্ধার অভিযানে সময় দমকল বাহিনীর কর্মীরা হাজার হাজার দগ্ধ কোয়ালার লাশ পড়ে থাকতে দেখেছেন। অন্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অসংখ্য কাকাতুয়া মরে পড়ে রয়েছে সেখানে।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় দাবানলের কারণে ধ্বংসের পরিমাণ নির্ণয়ে হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ব। আকাশ থেকে তোলা ছবিতে ভয়ংকর দৃশ্য দেখা গেছে। দাবানলের কারণে অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় প্রাণীগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিতে কোয়ালা। কারণ এ প্রাণীগুলো ধীরে ধীরে চলাচল করে এবং ইউক্লিপটাস গাছের পাতা খেয়ে বেঁচে থাকে।
আর এই গাছ বেশিমাত্রায় দাহ্য। ধারণা করা হচ্ছে, গত চার মাসে দাবানলে অন্তত ৮ হাজার কোয়ালা মারা গেছে, যা ওই অঞ্চলের মোট কোয়ালার এক-তৃতীয়াংশ।