বর্ষবরণে সিডনির আতশবাজি উৎসব ঘিরে বিতর্কের ঝড়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৪০ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
দাবানলে জ্বলছে গোটা অস্ট্রেলিয়া। তার মধ্যে বর্ষবরণে সিডনির আতশবাজি উৎসব বিতর্কের মুখে পড়েছে। পরিবেশবিদ থেকে সাধারণ মানুষ, অনেকেই এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দাবানলের আগুনে জ্বলছে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত। সিডনি থেকে শুরু করে মেলবোর্ন- আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।
এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা আঠারো। বাসস্থান পুড়ে গেছে এক হাজার পরিবারের। নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ। বাড়িঘর ছেড়ে সমুদ্রের ধারে আশ্রয় নিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। এই পরিস্থিতিতে নতুন বছরের উৎসব আদৌ যুক্তিযুক্তি কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মানুষ। বিশেষত এত আগুনের মধ্যে আতসবাজির উৎসব ঠিক নয় বলেই মত দিয়েছিলেন অনেকে।
পরিবেশবিদেরাও এর বিরুদ্ধে ছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে মেলবোর্ন এবং ক্যানবেরার আতশবাজি উৎসব বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহু সমস্যা থাকলেও আতশবাজির উৎসব বন্ধ হবে না। কারণ এই উৎসব অস্ট্রেলিয়ার গর্ব। আমরা গোটা পৃথিবীকে দেখাতে চাই, অস্ট্রেলিয়া উদ্যম হারিয়ে ফেলেনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই সিডনির হারবারে আতশবাজি উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়। তাই শেষ পর্যন্ত উৎসব হলো। কিন্তু আনন্দ হলো না প্রতি বছরের মতো। নতুন বছরে সিডনির হারবারে আতশবাজি ফুটলো। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এর প্রতিবাদ করলেন অনেকেই। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, গোটা দেশ যখন দাবানলে দগ্ধ, তখন এই উৎসবের কি কোনও প্রয়োজন ছিল? দাবানলে এখনও পর্যন্ত সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস।
সেখানকার নেতা জন ব্যারিলারো সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক পদক্ষেপ। দমকলকর্মীরা দিন রাত এক করে কাজ করছেন। তাঁদেরকেও একটু বিশ্রামের সুযোগ দেওয়া উচিত।’ পরিবেশবিদদের একটা বড় অংশ মনে করছে, এই পরিস্থিতিতে আতশবাজির প্রদর্শন থেকে দূরে থাকা উচিত ছিল সিডনির। কারণ দাবানলে দূষণের মাত্রা ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে। তার উপর আতশবাজি দূষণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।