avertisements 2

৯ ব্যাংকের মালিকানায় হচ্ছে ‘ডিজিটাল ব্যাংক’

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:১৬ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

দেশের ৯টি বেসরকারি ব্যাংক মিলে ডিজিটাল ব্যাংক করার উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন এই ব্যাংকের নাম হবে ‘ডিজি ১০ ব্যাংক বা ডিজিটেন ব্যাংক পিএলসি’। এ ব্যাংকগুলোর বর্তমান গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। একসঙ্গে ৯ ব্যাংক মিলে এ ধরনের উদ্যোগ দেশে এই প্রথম।

ডিজিটাল ব্যাংক করার জন্য সিটি ব্যাংক যে আটটি ব্যাংকের সঙ্গে জোট বা কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে সেগুলো হচ্ছে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি), ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল), ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল), ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এনসিসিবি) ও মিডল্যান্ড ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংক গঠনে ৯ ব্যাংকের প্রতিটি প্রায় ১৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা করে মোট ১২৫ কোটি টাকা মূলধন জোগান দেবে। প্রতিটি ব্যাংক সমান হারে ১১ দশমিক ১১ শতাংশের মালিক হবে।

এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এই উদ্যোগে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে। অন্যান্য ব্যাংকের পর্ষদও একে একে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়া সাপেক্ষে সিটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। দেশে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার অনুমতি প্রদানের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদনও আহ্বান করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগের পর দেশের বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান, মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি খাতের শিল্প প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল ব্যাংক করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে সিটিসহ ৯টি ব্যাংকের জোটবদ্ধ হয়ে ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের এ উদ্যোগটি প্রথম। এককভাবে অনেকেই ইতিমধ্যে ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের আবেদন করেছে।

জানা গেছে, ৯টি ব্যাংক মিলে যে কনসোর্টিয়াম গঠন করেছে, তাদের সম্মিলিত গ্রাহক সংখ্যা এখনই প্রায় ৫ কোটি। তাই ডিজিটাল ব্যাংকটি দ্রুত সময়ে এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ বিষয়ে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মাসরুর আরেফিন যায়যায়দিনকে বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাংক সমান মালিকানায় থাকবে। সিটি ব্যাংকই প্রথম তাদের বোর্ডে অনুমোদন করেছে। অন্য ব্যাংকগুলো শিগগিরই নতুন উদ্যোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। দেশের সুপরিচিত এই ৯ ব্যাংক যদি লাইসেন্স পায়, তাহলে ডিজিটাল ব্যাংকিং নিয়ে সরকারের স্বপ্ন আরও সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন হবে। এজন্যই আমাদের ৯ ব্যাংকের একত্র হওয়ার উদ্যোগ।’

সম্প্রতি দেশের প্রচলিত ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি গ্রাহকদের আর্থিক সেবা দিতে ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিজিটাল ব্যাংকগুলো কাউন্টারের মাধ্যমে সরাসরি গ্রাহকদের কোনো সেবা দিতে পারবে না এবং কোনো ফিজিক্যাল ইনস্ট্রুমেন্টও ইস্যু করতে পারবে না।

ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহীদের আবেদনের প্রসেসিং ফি বাবদ বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পাওয়ার পাঁচ বছরের মধ্যে ডিজিটাল ব্যাংকগুলোকে জনসমক্ষে আসতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির বিধিমালা অনুসারে, ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের ন্যূনতম ১২৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন দেখাতে হবে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে অর্থাৎ আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে উত্থাপিত মূলধনের পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে কম হলে এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না। আর মূলধন আসতে হবে অবশ্যই উদ্যোক্তাদের থেকে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক উদ্যোক্তাদের ন্যূনতম ৫০ লাখ টাকার সমপরিমাণ শেয়ারের মালিকানা নিতে হবে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2