avertisements 2

ভারতীয় রুপিতে আজ থেকে বাণিজ্য লেনদেন শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ জুলাই,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:১৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

ভারতীয় মুদ্রা রুপি

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আজ থেকে রুপিতে লেনদেন শুরু হবে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বেলা ১১টায় রাজধানীর লা মেরিডিয়েন হোটেলে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ভারতীয় হাইকমিশন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভারতীয় মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। প্রাথমিকভাবে সোনালী, ইস্টার্ন ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ভারতীয় দুটি ব্যাংকের সঙ্গে রুপিতে লেনদেন হবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা, বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং কয়েকজন ব্যবসায়ী উপস্থিত থাকবেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা জানান, ভারত থেকে বাংলাদেশ প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের মতো পণ্য আমদানি করে। দেশটিতে রপ্তানি করে দুই বিলিয়নের মতো। রপ্তানি বাবদ যে পরিমাণ রুপি আসবে, সমপরিমাণ আমদানি দায় নিষ্পত্তি করতে পারবে ব্যাংক। আবার স্বল্পমেয়াদি রুপির ঋণ নিয়েও আমদানি করা যাবে। স্বল্পমেয়াদি ঋণের ফলে ডলারের ওপর সৃষ্ট চাপ সাময়িকভাবে কমবে। বর্তমানে দেশটির সঙ্গে সব বাণিজ্য হয় ডলারে।

বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত যে কোনো ব্যাংক শাখা থেকে আইএমএফ স্বীকৃত পাঁচটি মুদ্রা ও কানাডিয়ান ডলারে এলসি খুলতে পারে। আঞ্চলিক বাণিজ্যে ডলারের একক প্রভাব কমাতে বেশ আগে থেকে চেষ্টা করে আসছে বড় দেশগুলো। বিশেষ করে ভারত, চীন ও রাশিয়া নিজেদের মুদ্রা লেনদেনের জন্য অনেক দিন ধরে আলোচনা করছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট আমদানির বড় অংশ হয় চীন ও ভারত থেকে। গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে মোট আমদানি হয়েছে ১৯ শতাংশের বেশি। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশটি থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৬৯ কোটি ডলার বা মোট আমদানির ১৮ দশমিক ১০ শতাংশ। গত মার্চ পর্যন্ত চীন থেকে এসেছে মোট আমদানির ২৬ শতাংশের বেশি। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে দেশটি থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৯৩৫ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশের মোট আমদানির ২৫ দশমিক ৬০ শতাংশ।

করোনা-পরবর্তী বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর ডলারের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হয়। এরপর নতুন করে নিজ দেশের মুদ্রার প্রচলনের বিষয়টি আলোচনায় আসে। যদিও ডলারের বাইরে অন্য মুদ্রায় লেনদেন কতটুকু সফল হবে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2