সামাজিক সুরক্ষায় সচ্ছলরাও, বঞ্চিত হতদরিদ্ররা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:৫৫ এএম, ১ সেপ্টেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০২:৩০ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলপত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, শুধু হতদরিদ্ররাই সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা পাবেন। কিন্তু সমাজের বহু সচ্ছল পরিবারও এই সামাজিক সুরক্ষা সুবিধা নিচ্ছেন। পেনশন, সঞ্চয়পত্রের সুদসহ বেশকিছু খাতে সামাজিক সুরক্ষার অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এখানে সমাজের বহু সচ্ছল পরিবারের বিনিয়োগ রয়েছে। ফলে প্রকৃত গরিব মানুষ সামাজিক সুরক্ষার সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বেশ আগে থেকেই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবীদের পেনশনের টাকা বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে দেখানো হয়। এবারের বাজেটে সঞ্চয়পত্রের সুদের টাকাও এ খাতে বরাদ্দ দেখানো হয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষায় ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে পেনশন বাবদ ২৩ হাজার কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্রের সুদ-ভর্তুকি বাবদ ছয় হাজার ৬২৫ কোটি টাকা রয়েছে। এটা সামাজিক নিরাপত্তা খাতের মোট বরাদ্দের ৩৫ শতাংশ। এই দুটি খাতের বরাদ্দ বাদ দিলে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় দাঁড়ায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এ ব্যয়েরও সিংহভাগ অর্থ প্রকৃতপক্ষে যাদের পাওয়ার কথা, তারা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।বিশ্বব্যাংকের এক হিসাবে বাংলাদেশের ৩০ শতাংশ মানুষ বিত্তশালী। কিন্তু এদের বড় একটি অংশ সামাজিক সুরক্ষার আওতায় সুবিধা গ্রহণ করছেন। ২০১৬ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপের তথ্য অনুযায়ী, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বিতরণ করা সুবিধার ৭৫ শতাংশই পেয়েছেন সচ্ছলরা। তার মানে, যারা পাওয়ার যোগ্য তাদের বেশিরভাগই পাচ্ছেন না। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রকৃত দরিদ্র অনেকেই এই কর্মসূচির মধ্যে ঢুকতে পারছেন না। ফলে এ খাতে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে বলে অনেকে মনে করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক নিরাপত্তার নীতিমালা পর্যালোচনা করে তা সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।