তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নেওয়া কে এই নাহিদ?
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৩৯ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ছবি : সংগৃহীত
সম্প্রতি নাহিদ নামে এক যুবকের একটি ফেসবুক পেজে (www.facebook.com/nahidrains) সাক্ষাৎকার দিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়ান তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। সাক্ষাৎকারের ভিডিওতে দেখা যায়, হোস্ট নাহিদ নামে ওই যুবক তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও তার কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে বিভিন্ন বিষয় উসকানিমূলক প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন এবং প্রতিমন্ত্রী একের পর এক অশালীন অশ্রাব্য মনগড়া মন্তব্য করে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, হোস্ট ওই যুবকের বাড়ি চট্টগ্রামে। তিনি বহুদিন ধরেই ভিডিও তৈরি করে লক্ষাধিক ফলোয়ারের ওই ফেসবুক পাতায় পোস্ট করে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে আসছেন।
১ ডিসেম্বর রাতে ‘অসুস্থ খালেদা, বিকৃত বিএনপির নেতাকর্মী’ শিরোনামে নাহিদের সঙ্গে ফেসবুক লাইভে যুক্ত হন মুরাদ হাসান। লাইভের এক পর্যায়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে তিনি বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এ ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্ম ও পরিবার নিয়েও কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়া তিনি বিএনপির সাবেক নারী এমপি সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াকে ‘মানসিক রোগী’ বলেও অভিহিত করে বিতণ্ডায় লিপ্ত হন।
তিনি বলেন, আমার মেয়ের বয়সের চেয়ে সে এক বছরের বড়। আমার কন্যার মতো বয়সী হয়ে যে নোংরা ভাষায় আমাকে নিয়ে ট্রল করেছে, সেটা তো কুচিন্তনীয়। এটা আমার কাছে খুব দুঃখজনক মনে হয়েছে। তার সম্পর্কে সামাজিকমাধ্যমের অনেক ছবি আমার কাছে চলে এসেছে।
তিনি বলেন আমি একজন চিকিৎসক। সেই হিসেবে তার সম্পর্কে আমার যে অবজারভেশন, সেটা আমি বলেছি। সেটা ভুল হলে আমি দুঃখিত। তবে সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়ার বক্তব্য, মুরাদ হাসান যদি সত্যিকার অর্থে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হতেন, তাহলে তিনি ‘দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এ ধরনের মন্তব্য করতে পারতেন না।’
তিনি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা বলায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয় নারীবাদীরা। রোববার সন্ধ্যায় নারীপক্ষের বিবৃতিতে প্রশ্ন করা হয়েছে, এ ধরনের, ‘নারীবিদ্বেষী ও বর্ণবাদী কিভাবে একজন জনপ্রতিনিধি হয়েছে, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য হয়েছে।
এ বিষয়ে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এটি দল বা সরকারের নয়। এ ধরনের বক্তব্য তিনি কেন দিলেন, বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ওইদিন রাত ৮টার দিকেই ওবায়দুল কাদের জানান, আগামীকালের (৭ ডিসেম্বর) মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।