avertisements 2

১১টি বিষয়কে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে আ.লীগের ইশতেহার ঘোষণা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ ডিসেম্বর, বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৪৮ এএম, ৪ মে,শনিবার,২০২৪

Text

প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক স্মার্ট দেশ গড়া, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মতো ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার পর রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেষ হয় দুপুর পৌনে ১২টার দিকে। আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারে স্লোগান- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’।

ইশতেহারে যে ১১ বিষয়কে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- দ্রব্যমূল্য সকলের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো, কর্মপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত, আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট দেশ গড়ে তোলা, লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের প্রসার ঘটানো, ব্যাংকসহ আর্থিক খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, নিম্ন আয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা সুলভ করা, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সকলকে যুক্ত করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকারিতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা, সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুরক্ষা ও চর্চার প্রসার ঘটানো এবং সাম্প্রদায়িকতা এবং সকল ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধ করা।

ইশতেহার ঘোষণার সময় শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হলে বাজারমূল্য আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করা হবে। শহরমুখী প্রবণতা কমাতে গ্রামেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে তরুণ ও যুবকরা বেশি গুরুত্ব পাবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কৃষিখাতে উন্নয়ন সাধনের জন্য বেশি কিছু দিক আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যে কথা দেই, তা বাস্তবায়ন করি। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ইশতেহার তার প্রমাণ। তবে মনুষ্য সৃষ্টি ও প্রকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগ আওয়ামী লীগের চলার পথকে বাধাগ্রস্ত করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিগত ১৫ বছরে সরকার পরিচালনায় যদি কোনো ভুলত্রুটি হয়, তার দায়ভার আমি নিচ্ছি। আমি বাংলাদেশের জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করব এবং এর মধ্য দিয়ে আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করব।

বক্তব্যের শুরুতে শেখ হাসিনা সরকারের অর্জনগুলো তুলে ধরেন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বাঙালিদের কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি।

মাথাপিছু আয়, জিডিপি ও বাজেটের আকার, বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ নানা খাতের সরকারের অর্জনগুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইশতেহার কমিটির প্রধান ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক সূচনা বক্তব্য দেন। এরপর বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

স্মার্ট বাংলাদেশ থিমে ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানে ইশতেহার দেয় দলটি। আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারের স্লোগান ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’।

নবম সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করার পর টানা তিন মেয়াদ ধরে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনা করে আসছে স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগ।

২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ‘দিনবদলের সনদ’ স্লোগানে তাদের ইশতেহারে ছিল ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে ইশতেহার ঘোষণা করে দলটি। শিরোনাম ছিল ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’। এরপর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইশতেহারের শিরোনাম ছিল ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’। লক্ষ্য ছিল ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়া।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী, কূটনীতিক, বিভিন্ন দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল উপস্থিত হয়েছেন।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2