avertisements 2

ফখরুল-আমীর খসরুর রিমান্ড নামঞ্জুর, জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৪৮ এএম, ২ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী । ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর রিমান্ড নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সাথে দুই কার্যবিদবসের মধ্যে জেল গেটে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরি শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার মির্জা ফখরুল-আমীর খসরু

এসময় তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর করে দুদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু। অপরদিকে আসামিপক্ষে তাদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. আসাদুজ্জামান, মহসিন মিয়া, ওমর ফারুক ফারুকীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।

১৪ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সুমিত কুমার সাহা তাদের গ্রেপ্তারের আবেদনসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এ বিষয় শুনানির জন্য সোমবার দিন ধার্য ছিল।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ পরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিকেল তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

এই ঘটনার পর ওইদিন মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে, গত ২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। পরদিন ৩ নভেম্বর সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। মামলায় তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৯ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2