মানবাধিকার লঙ্ঘনে বাংলাদেশ এখন নম্বর ওয়ান: সেলিমা রহমান
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১০ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:৪৯ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিএনপিনেত্রী সেলিমা রহমান রোববার রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন। ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, ‘আজকে দেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ নম্বর ওয়ান। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব। এই সরকারের নির্বাচন মানব না। অতি শিগগিরই বাংলাদেশের জনগণ বর্তমান আওয়ামী সরকারের পতন ঘটাবে।’
আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সেলিমা রহমান।
বিএনপিনেত্রী সেলিমা রহমান বলেন, ‘আজকে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিকে দাঁতভাঙা জবাব দেবে। তিনি এ কথা বলার কে? তিনি তো ভোটারবিহীন নির্বাচনের একজন মন্ত্রী।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবরের পর আমাদের প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। অনেক ভাই ও বোনেরা ঘরে ঘুমাতে পারেন না। ছেলেকে না পেলে মাকে, ভাইকে, বোন কিংবা বাবাকে নিয়ে যাচ্ছে। অনেককে ধরে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। এটা একটা ডাইনি সরকার। তারা নিজেরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের মহাসমাবেশে হামলা করে পণ্ড করে দিয়েছে।’
সেলিমা রহমান বলেন, ‘কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের ন্যায্য অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। আজকে দেশের বিচার বিভাগ চলছে একজনের নির্দেশে। বিশ্বের কোথাও বাংলাদেশের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘন নেই। সরকার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় বন্ধ করে রেখে একতরফা নির্বাচন করছে।’
সেলিমা রহমান আরও বলেন, ‘বর্তমান লোভী ও ফ্যাসিস্ট সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রেখে তিলে তিলে মারতে চায়। আমরা সব জনগণকে বলব, এই সরকারকে না বলুন। আপানারা দোকানপাট বন্ধ রাখুন। বিদেশ ভ্রমণ বাদ দিন। বিয়ে-শাদীর কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করুন। দেশে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। পেঁয়াজের কেজি কত? এভাবে বেশি দিন চলবে না।’
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘আজকে ডান-বাম সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। অতি শিগগিরই বাংলাদেশের জনগণ বর্তমান আওয়ামী সরকারের পতন ঘটাবে।’
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বর্তমান সভাপতি আফরোজা আব্বাস, পেশাজীবীনেতা রুহুল আমিন গাজী, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, ডা. সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল হাই শিকদার, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক রাশেদুল হক, আমিরুল ইসলাম কাগজী, সাঈদ খান, কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, নাজিম উদ্দিন আলম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, রেহানা আক্তার রানু, এ্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হাছিন আহমেদ, সহসভাপতি প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, সাবেক ছাত্রদল নেতা রাজীব আহসান পাপ্পিসহ হাজারও নেতাকর্মী।